মাদারীপুরের কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতি করতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া এক ডাকাতের লাশ দুই দিন পর নদীতে ভেসে উঠেছে। আজ রোববার বিকেলে সদর উপজেলার রাজারচর এলাকার নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

গত শুক্রবার রাতে মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমান্তবর্তী খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দর এলাকায় ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনির শিকার হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে মাদারীপুরের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ট্রলার নিয়ে ধাওয়া দিলে স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতেরা দ্রুত শরীয়তপুরের দিকে পালিয়ে যায়। পরে তিন ডাকাতের লাশ শরীয়তপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের রাজারচর এলাকার স্থানীয় লোকজন কীর্তিনাশা নদীতে হাত–পা ধুতে গিয়ে একটি লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রাজারচর এলাকার বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি নদীতে হাত-পা ধুতে গেলে দেখি একটি লাশ ভাসছে। আমি লোকজনকে ডাক দিলে পরে তারা এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সবার ধারণা, লাশটি একজন ডাকাতের। কারণ, ওই দিন স্থানীয় লোকজন ডাকাতদের পিটুনি দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তাদের মধ্যে একজনের এই লাশ।’

আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কখন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তেহরানের মানুষের
  • ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কেড়ে নিল তরুণ ইরানি কবি আর তাঁর পুরো পরিবারকে
  • চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু
  • আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
  • হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, স্পষ্ট বার্তা দিলেন অপু
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস
  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান