চট্টগ্রামে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১২টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার জেল রোডে শাহ আমানত মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি মাজার এলাকায় ভবঘুরে হিসেবে বসবাস করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী শাহেদ ওরফে তোবেলকে (৩০) ধাওয়া দিয়ে ধরে মারধর করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, শাহেদ পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি নিয়ে জেল রোডে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় মাজার এলাকায় থাকা ভবঘুরে এক যুবকের সঙ্গে তার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহেদ তার ডান বাহুতে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার রক্তক্ষরণ হয়। টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শাহেদকে উদ্ধার করে প্রথমে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এবং রাতে সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার কাছ থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মাজার এলাকায় থাকা লোকজন জানিয়েছেন, শাহেদ মাদকাসক্ত। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। নিহত ভবঘুরে ওই যুবকও মাদকাসক্ত। তাদের মধ্যে কি নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একটি টিম আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। তাকে কি ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি দুজনের মধ্যে অন্য কোনো বিষয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম জ র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন