নিলামে অ্যাপল–১ কম্পিউটার, কত টাকায় বিক্রি হতে পারে জানেন
Published: 3rd, March 2025 GMT
অ্যাপলের সহ–প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন পণ্য স্মারক হিসেবে রাখার ব্যাপারে আগ্রহী ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির দুই সহ–প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ও স্টিভ ওজনিয়াকের হাতে তৈরি অ্যাপল–১ কম্পিউটারের নিলাম হয়েছে বহুবার। এবার আরও একটি অ্যাপল–১ কম্পিউটারের নিলাম কার্যক্রম শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিলাম প্রতিষ্ঠান আরআর অকশন। নিলামে কম্পিউটারটির দাম তিন লাখ মার্কিন ডলার বা ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১২০ টাকা ধরে) উঠতে পারে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
চার দশক আগে বাড়ির গ্যারেজে স্টিভ জবস ও ওজনিয়াক মিলে অ্যাপল গড়ে তোলেন। সেখানে তাঁরা তৈরি করেন অ্যাপল–১ কম্পিউটার। কম্পিউটারটি মূলত একটি মাদারবোর্ড। কেসিং, মনিটর ও কি–বোর্ড আলাদা আলাদাভাবে যুক্ত করে ব্যবহার করতে হতো কম্পিউটারটি।
আরও পড়ুনস্টিভ জবসের জীবনের ৩ বিচ্ছেদের গল্প শুনুন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪আরআর অকশনের তথ্যমতে, ‘অ্যাপল–১’ কম্পিউটার ছাড়া স্টিভ জবসের সই করা দুটি চেক অনলাইনে নিলামে তোলা হয়েছে। চেক দুটির দাম ২৫ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। এ ছাড়া ‘অ্যাপল–২’ কম্পিউটারও কেনা যাবে নিলামে। এই কম্পিউটারের দাম ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনস্টিভ জবসের যে দক্ষতাকে এখনো ঈর্ষা করেন বিল গেটস১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ট ভ জবস র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’