৪ রানে নেই ৬ উইকেট, ঢাকা লিগে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং–বিপর্যয়
Published: 4th, March 2025 GMT
ইনিংসের কেবল ৩ ওভার ৪ বল হয়েছে তখন—৪ রানেই ৬ উইকেট নেই গাজী গ্রুপের! দেশের তো বটেই, বিশ্ব রেকর্ডও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল তখন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের, বার্বাডোজের বিপক্ষে ২০০৭ সালে ১৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল তারা।
বাংলাদেশে সেটি চট্টগ্রাম বিভাগের, সিলেটের বিপক্ষে ২০০২ সালে তারা অলআউট হয়েছিল ৩০ রানে। এসব রেকর্ড থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনেকটুকু দূরে গিয়েই থেমেছে গাজী গ্রুপ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বিকেএসপিতে আজ তারা ৯৩ রানে অলআউট হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে।
এনামুল হক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে বিপর্যয়ের শুরু হয়, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি, তার মনে হচ্ছিল বল লাগেনি ব্যাট। শূন্য রানে এনামুল ফেরার পর শরীফুলের ওই ওভারেই আকবরের হাতে ক্যাচ দেন ৪ বলে ২ রান করা সালমান হোসেনও।
দ্বিতীয় ওভারে তানজিম হাসান কোনো উইকেট নিতে পারেননি। তবে তৃতীয় ওভারে শরীফুল ফিরতেই আবার উইকেটের দেখা পায় রূপগঞ্জ। এবার সাদিকুর রহমান রানআউট হন সৌম্য সরকারের সরাসরি থ্রোয়ে। চতুর্থ বলে আমিনুল ইসলাম ও শেষ বলে শেখ পারভেজ জীবনকে বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট পেয়ে যান শরীফুল।
নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তানজিম হাসানের বলে বোল্ড হন শামসুর রহমান। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে শামসুর আউট হওয়ার সময়ও গাজী গ্রুপের রান ৪। এরপর অবশ্য তাদের মান বাঁচান তোফায়েল আহমেদ ও ওয়াসি সিদ্দিকী। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন। ৫৯ বল খেলে ২৪ রান করে তোফায়েল ও ৭৭ বলে ১৮ রান করে ওয়াসি সিদ্দিকী শিকার হন তানভীর ইসলামের বলে।
শেষ দিকে ৫০ বলে আব্দুল গাফফার ২৬ রান করলে এক শ ছোঁয়া সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ। প্রথম ২ ওভারে ৪ উইকেট নেওয়া শরীফুল নিজের পরের ৮ ওভারে কোনো উইকেট পাননি। ১০–৩–১৪–৪, তবু ইনিংস শেষে দেখার মতোই ছিল তাঁর বোলিং–বিশ্লেষণ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের
চট্ট্রগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা দুর্দান্ত কেটেছে বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২২৭ রানে দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দিনের প্রথম বলেই সফরকারীদের শেষ উইকেটটি তুলে নেন তাইজুল। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসের সেরা বোলার টাইগার এই স্পিনার।
জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইতিবাচক শুরু করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সেশন শেষ করেন তারা। বিজয় ৩৮ এবং সাদমান ৬৬ রানে ব্যাট করছেন। ২৬ ওভারে বাংলাদেশ করে বিনা উইকেটে ১০৫ রান। এরপরই মধ্যাহ্নভোজে যায় দুই দল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম টেস্টের ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ রান তুলতে পারল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় ৩২ ইনিংস পর বাংলাদেশ পেয়েছে ওপেনিং জুটিতে শতরানের জুটি।
সাদমানের ফিফটি
সিলেট টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাদমান। তবে চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৬ রান। সাদমান ৫০ রানে এবং বিজয় ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
সাদমান-বিজয়ের জুটির ফিফটি
সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ইতিবাচক সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৩.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫০ রান করেছে স্বাগতিকরা। ১২ ইনিংস পর পঞ্চাশ পেরোনো শুরুর জুটি পেল তারা। ভারতের বিপক্ষে গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষবার ৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাদমান ও জাকির হাসান।
প্রথম বলেই তাইজুলের আঘাত, ২২৭ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে
প্রথম দিনের দুই সেশনে দাপট দেখালেও শেষ সেশনে ব্যাটিং ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ২ উইকেটেই ১৭৭ রান থেকে জিম্বাবুয়ে দিনশেষ করে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে। তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট নিয়ে গতকাল তাদের এলোমেলো করে দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সফরকারীদের অলআউট করা যায়। এই লক্ষ্যে দিনের প্রথম বলেই মুজারাবানিকে ফেরায় তাইজুল। এতে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানেই অলআউট জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিলেন তাইজুল।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের