চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ইতালিপ্রবাসী দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১০টায় পুরানবাজার গার্লস স্কুলের সামনে একটি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের নিচে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন পুরানবাজার মেরকাটিজ রোডের মো. আবদুস সালাম দেওয়ানের ছেলে ইতালিপ্রবাসী অভি দেওয়ান (১৭) ও তাঁর খালাতো ভাই শরীয়তপুরের ঘরিসা এলাকার মো.

সেলিম মিয়ার ছেলে নিলয় (১৮)। এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানচালক পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করেছে।

পুরানবাজার এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী শিপন খান বলেন, মেরকাটিজ রোডের অভি দেওয়ান ও তাঁর খালাতো ভাই শরীয়তপুরের নিলয় দুজন ইতালিতে থাকেন। রোজা ও ঈদের ছুটি কাটাতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অভি দেওয়ান ও ১৮ ফেব্রুয়ারি নিলয় দেশে আসেন। গতকাল রাত সোয়া ১০টায় তাঁরা দুজন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের নতুন বাজার যাচ্ছিলেন। এ সময় গার্লস স্কুলে কাছে দ্রুতগতিতে একটি সাইকেলকে পাস কাটিয়ে যাওয়ার সময় একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে অভির মৃত্যু হয়। নিলয়কে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাহার মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ