কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Published: 4th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মব তৈরি করে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে তারা জানিয়েছে। মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এবং মব সৃষ্টি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে সবাইকে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে মব তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মারধর করা হয়। ঘটনার দিন জনতা মব সৃষ্টিকারী দুজনকে তৎক্ষণাৎ পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করেন।
গত শনিবার (১ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে (১২ জন) গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পতেঙ্গা সী বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্তাসহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় জড়িত। এ ছাড়াও তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে সবাইকে সতর্ক করে বলেছে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পারভেজ শেখ (২০), মানিক শেখ (৪১), সাদ্দাম শেখ (৩৫), শাকিল খান (২৫), ফয়সাল শেখ (২০), আবু সাঈদ শেখ (৪০), সজীব শেখ (১৯), রনি শেখ (৪০), সোহেল সুলতান (২৫), আফ্রিদি শেখ (১৯), মোস্তফা শেখ (৪০), নুরুন্নবী (১৮), আমানুল্লাহসহ (২৫) আরও অনেকে।
গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া থানার আহত এসআই সেলিম মাহমুদ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই এসআইসহ কোটালীপাড়া থানার আরও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।
মাঝবাড়ি গ্রামের কালাম দাড়িয়া ও বংকুরা গ্রামের হাসেম মুন্সি জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বংকুরা গ্রামের রিয়াজুলের কাছ থেকে মাঝবাড়ি গ্রামের ফারুক দাড়িয়া সুদে টাকা নেন । সেই টাকা সময়মত ফারুক সুদে আসলে পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করেন। এতে পাওনাদার রিয়াজুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের পর দুই গ্রামের লোকজন ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায়-দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোটালীপাড়া পাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত রিয়াজুল ও ফারুক দাড়িয়ার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।