Samakal:
2025-08-01@20:46:01 GMT

কটাক্ষের শিকার প্রিয়াঙ্কা

Published: 4th, March 2025 GMT

কটাক্ষের শিকার প্রিয়াঙ্কা

কেবল বলিউড নয়, হলিউডেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অভিনয়ের প্রশংসা করেন সিনেমাপ্রেমীরা। তার জীবনের নানা ঘটনা নেটিজেনরা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। অনেকেরই অজানা প্রিয়াঙ্কা তার বাবার মৃত্যুর মাত্র ৬ দিন পরেই তার মায়ের জমজমাট জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করেন। 

এ ঘটনা অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া নিজেই শেয়ার করেন। তবে ঘটনাটি সামনে আসতেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বাবা বেঁচে থাকলে তিনি নিজেও মায়ের জন্মদিনটা পালন করতেই চাইতেন। আমি সেই কাজটাই করেছি।’ পাশপাশি, মধু সমালোচনা সহ্য করেছেন ছেলে-মেয়ের মুখ চেয়ে।

মধু জানান, প্রিয়াঙ্কা তার বাবা অশোক চোপড়ার মৃত্যুর পরপরই মায়ের জন্মদিন পালন করেছিল। কারণ একটাই, মায়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনা। অশোক চোপড়ার মৃত্যুর পরপরই পার্টির আয়োজন করার জন্য তার কিছু আত্মীয়স্বজন প্রিয়াঙ্কার সমালোচনা করতে শুরু করেন।

প্রিয়াঙ্কার মা মধুর কথায়, ‘আমার জন্মদিন ১৬ জুন। আমার বয়স যখন ৬০, তখন ও আমার জন্মদিনের একটা বড় পার্টির আয়োজন করেছিল। আমার স্বামীর অসুস্থতার কারণে পুরো পরিবার সেই সময় এমনিতেই উপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি মারা যান। সেই সময়টা খুবই কষ্টে কেটেছে দিন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা সেই বছর আমার জন্মদিন পালনের ব্যাপারে অনড় ছিলেন। এবং সব আত্মীয়কে থেকে যেতে বলেছিলেন। কারণ, ওর বাবাও এমনটাই চাইতেন।’

প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা অশোক চোপড়া দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার পর ২০১৩ সালে মারা যান। অশোক চোপড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ