নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অজুহাত তৈরির পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, কিছু কিছু লোক নির্বাচনপ্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য, নির্বাচন না করার জন্য একটা অজুহাত তৈরির পাঁয়তারা করছে। এতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত কাজ করছে। বাংলাদেশ যদি অস্থিতিশীল হয়ে যায়, অনেকেরই ক্ষতি হবে। নির্বাচন যারা পিছিয়ে দিতে চাচ্ছে, তাদের ক্ষতি হবে। নির্বাচনপ্রক্রিয়া পেছানোর জন্য কোনো অজুহাত তৈরি করা যাবে না।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে গিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আজ সকালে এক কর্মসূচিতে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘যত দিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখছি, তত দিন যেন কেউ ভুলক্রমেও নির্বাচনের কথা না বলে।’ এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নতুন দলের নেতারা এটা বলতেই পারেন। বিচার হোক না.

.., বিচার তো আমিও চাই। আওয়ামী লীগের এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার আমি চাই, বিএনপি চায়, সবাই চায়। বিচার হতেই হবে। বাংলাদেশের মাটিতে এদের বিচার হতেই হবে।’ তিনি বলেন, বিচার বন্ধ থাকুক, এটা তো কেউ বলে না। নির্বাচনের আগে–পরে কোনো আদালত বন্ধ থাকে বা দ্রুতগতিতে চলে, এমনটা নয়। আদালত তার নিয়মেই চলে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দ্রুত বিচার আদালতে আমার সাজা হয়েছে। আমার স্ত্রীর ১৬ বছরের সাজা হয়েছে, আমার ভাইয়ের ১৮ বছরের সাজা হয়েছে। আরও অনেকেরই সাজা হয়েছে। দ্রুত বিচার আদালতে বিচার হোক। কিন্তু নির্বাচনপ্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো অজুহাত তৈরি করা যাবে না।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ