ফের একসঙ্গে নাঈম-নাদিয়া, থাকবেন শখ-তিশাসহ আরও ৩০ তারকা
Published: 4th, March 2025 GMT
চলতি বছর এফএস নাঈম ও নাদিয়া আহমেদ দম্পতি দুটি অনুষ্ঠান নিয়ে এরইমধ্যে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তাদের উপস্থাপনায় মাছরাঙা টেলিভিশনে ‘ভালোবাসার কিচেন’ ও এটিএন বাংলার ‘পাঁচফোড়ন’ অনুষ্ঠান দর্শক-প্রশংসিত হয়েছে। এবার রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘জিরো ক্যাল ড্রিংক্স অ্যান্ড ডেজার্ট’–উপস্থাপনা করছেন এই জুটি।
পহেলা রমজান থেকে এটি শুরু হয়েছে। চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি প্রতিদিন বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশন ও বিকেল ৪টা ৫৩ মিনিটে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, একাত্তর টেলিভিশন, সময় টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন জেড আই ফয়সাল।
অনুষ্ঠানে অতিথি তালিকায় রয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী, মিম মানতাশা, তাসনুভা তিশা, সৌম্য জ্যোতি, পারসা ইভানা, সাবিলা নূর, সুমাইয়া শিমু, শাহনাজ সুমী, সারিকা সাবা, মামনুন হাসান ইমন, তাহমিনা সুলতানা মৌ, পার্থ শেখ, জান্নাতুল ফেরদৌসী ঐশী, রাবা খান, কেয়া, শাহনাজ খুশী, নাদিয়া হক অর্ষা, সামিয়া অথৈ, অর্চিতা স্পর্শিয়া, দিলশাদ নাহার কনা, সাফা কবির, শাশ্বত দত্ত, সাদিয়া আয়মান, মনোজ প্রমাণিক, আনিকা কবির শখ, বিজরী বরকতুল্লাহ, দিব্য জ্যোতি, দীপা খন্দকার, জয়া আহসান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, ‘সারাবছর অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। অভিনয়ের বাইরে উপস্থাপনাও বেশ এনজয় করি। এ কারণে নতুন আইডিয়ার কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনার প্রস্তাব পেলে সানন্দে রাজি হই। এ অনুষ্ঠানের আইডিয়াটা পছন্দ হয়েছে। নাদিয়ার সঙ্গে আমার উপস্থাপনার জুটিটি দর্শক বেশ পছন্দ করছেন। এবারের আয়োজনটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশা করছি।
নাদিয়া বলেন, ‘অনুষ্ঠানের আইডিয়া অসাধারণ। প্রথমবার নাঈমের সঙ্গে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান করছি। প্রতিপর্বে একজন তারকা অতিথি থাকেন। ইফতারির রেসিপি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। অনুষ্ঠানে যারা অতিথি হয়ে আসেন তারা আমার খুবই কাছের মানুষ। এ কারণে তাদের সঙ্গে প্রাণবন্ত সময় কাটে। আশা করছি, আয়োজনটি দর্শকের পছন্দ হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন দ য় আহম দ অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা