পাবনায় প্রসবের সময় বাচ্চার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন, তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 4th, March 2025 GMT
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এক নারীর প্রসবকালে শিশুর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রসূতির পরিবার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিশুটি অপরিপূর্ণ ও মায়ের পেটে মৃত অবস্থায় থাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ প্রসূতি চিকিৎসক নারগিস সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল ও প্রসূতি নারীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের আতাইকুলা গ্রামের দুবাইপ্রবাসী মো.
ঘটনার পর রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, পেটে মৃত বাচ্চা ছিল, তা তাঁরা জানতেন না। চিকিৎসকের অবহেলায় বাচ্চাটির শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁরা এ ঘটনার বিচার চান।
জানতে চাইলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রোগীর অবস্থা এখন ভালো। তবে কী কারণে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জ্যেষ্ঠ প্রসূতি চিকিৎসক নারগিস সুলতানাকে প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদনে হাসপাতালের কারও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান নার্গিস সুলতানা জানান, বিষয়টি জানার পরপরই দ্রুত মায়ের পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ওই নারীর পেটে বাচ্চাটি মৃত ও অপরিণত (সাত মাসের) অবস্থায় ছিল। মায়ের পেটে কোনো পানি ছিল না। এ ছাড়া তিনি থাইরয়েড ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি নিয়মিত ইনসুলিন নিতেন। বিভিন্ন জটিলতার কারণে চিকিৎসক দ্রুত তাঁর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন।
নার্গিস সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের ধারণা, শিশুটি অপরিপূর্ণ হওয়ার কারণে শরীর শক্ত না হওয়ায় শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ঘটনা কেন হয়েছে, কোনো অসাবধানতার ছিল কি না, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনো ধরনের অবহেলার প্রমাণ মিললে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক অবহ ল অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
আজ প্রথম প্রেম দিবস
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ প্রথম প্রেম দিবস। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়।এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি।
প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন?
মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময় শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি।
আরো পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
ভালো লাগার মুহূর্তগুলোত মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই সুখ অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না।
আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!
ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি