বেশিরভাগ মানুষ মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর পরই পানি খান। অনেকের মতে, মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খাওয়ার অভ্যাস ভালো। কারণ পানি পেটের স্বাস্থ্যের উপর মিষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। আসলে কি কথাটা ঠিক?

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় পুষ্টিবিদ মীনু বালাজি জানান, মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে তা মোটেই শরীরে চিনির ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে পারে না। তবে অন্য ভাবে সাহায্য করতে পারে।

মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে কী কী উপকার হয় তা জানিয়েছে এই পুষ্টিবিদ। যেমন-

শর্করার মাত্রা: মিষ্টি খেলে শরীরে একবারে শর্করার মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। একে বলা হয়‘সুগার স্পাইক’। এটা শুধু ডায়াবেটিস রোগী নয়, সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। পুষ্টিবিদ মীনুর মতে, শরীরে পানি কম থাকলে সুগার স্পাইক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীরে পানির মাত্রা পর্যাপ্ত থাকলে এই সমস্যা তুলনামূলক কম হবে।

হজম:পানি হজমে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ মীনার মতে.

হজমের জন্য যে উৎসেচক শরীর থেকে নিঃসৃত হয়,পানি তার সঙ্গে মিশে খাবারকে ভাঙতে এবং হজম করতে সাহায্য করে। পানি লালা নিঃসরণেও সাহায্য করে। এর ফলে হজম ভালো হয়। 

দাঁতের স্বাস্থ্য: খাবার দাঁতে আটকে থাকলে তা থেকে ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। মিষ্টি জাতীয় খাবার ব্যাক্টেরিয়াকে আরও সক্রিয় করে তুলতে পারে। মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে মুখে মিষ্টির টুকরো আটকে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। এর ফলে দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।


মিষ্টি যাতে পেটের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে সেজন্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। যেমন-

১. মিষ্টির সঙ্গে সব সময় ফাইবার, প্রোটিন বা স্বাস্থ্যকর স্নেহ জাতীয় খাবার খান। তাহলে ওই মিষ্টি খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কমবে। মিষ্টির সঙ্গে এক মুঠো বাদাম, অথবা শুকনো কড়ায় ভাজা সূর্যমুখীর বীজ বা কুমড়োর বীজও খেতে পারলে ভালো।

২. সব থেকে ক্ষতিকর মিষ্টি হল প্রক্রিয়াজাত সাদা চিনি। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে চিনির বদলে স্বাস্থ্যকর মিষ্টির বিকল্প বেছে নিন। কলা, আপেল, খেজুর অথবা অল্প পরিমাণে গুড় বা মধু খাওয়া যেতে পারে।

৩. অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে অল্প পরিমাণে খান। একটা গোটা চকোলেটের বদলে এক টুকরো খান। এক বাটি হালুয়া না খেয়ে দু’চামচ খান। যতটা সম্ভব মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখুন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর পর ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ