ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ছোটপর্দার পাশাপশি বড়পর্দায়ও বাজিমাত করেন এই অভিনেতা। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম তানিয়া বৃষ্টি। এবার ‘খুচরা পাপী’ শিরোনামের নাটকে অভিনয় করলেন তারা। জুয়েল এলিন রচিত নাটকটির কাহিনি ও পরিচালনা করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম।
এরই মধ্যে নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরে এনটিভিতে নাটকটি প্রচার হবে বলে নিশ্চিত করেছেন এই নির্মাতা।
দীর্ঘ বিরতির পর জিয়াউদ্দিনের নির্দেশনায় কাজ করলেন মোশাররফ করিম। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন পর আলমের নির্দেশনায় অভিনয় করলাম। যে সময়টাতে আলমের নির্দেশনায় সর্বশেষ কাজ করেছি তখন নির্দেশনায় একেবারেই নতুন ছিল। অনেক দিন ধরেই তার ইচ্ছা ছিল আমাকে নিয়ে একটি কাজ করার। কাজ করতে এসে দেখলাম আলম আগের চেয়ে অনেক গোছানো। কাজটা বেশ ভালোই বুঝে। তার গল্প নির্বাচনটাও ভালো।”
আরো পড়ুন:
এর চেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত আর হতে পারে না: ফারিয়া
ফের একসঙ্গে তারা
সহশিল্পী তানিয়া বৃষ্টির প্রশংসা করে মোশাররফ করিম বলেন, “তানিয়া বৃষ্টি অত্যন্ত মেধাবি একজন অভিনেত্রী। আমার সঙ্গে তার বেশ কয়েকটি কাজ হয়েছে। তানিয়া তার অভিনয়ে ভীষণ মনোযোগী এবং তার সেরাটাই সে দেওয়ার চেষ্টা করে। আশা করছি, ‘খুচরা পাপী’ নাটকটি দর্শককে মুগ্ধ করবে।”
তানিয়া বৃষ্টির কাছে মোশাররফ করিম অভিনয়ের ‘পাঠশালা’। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে যতগুলো নাটকে অভিনয় করেছি প্রত্যেকটি নাটকে অভিনয়ের জন্য ভীষণ সাড়া পেয়েছি। আমার কাছে তিনি অভিনয়ের পাঠশালা। তার সঙ্গে যতই কাজ করি, ততই আমি আমার নিজেকে সমৃদ্ধ করি। আলম ভাই বেশ গোছানো একজন পরিচালক। কাজটি নিয়ে খুবই আশাবাদী।”
‘খুচরা পাপী’ নাটকে আরো অভিনয় করেছেন— হারুন রশীদ বান্টি, রকি খান, মারিয়া, সীমান্ত, সুমাইয়া মির্জা, জুলফিকার চঞ্চল, ইমরান আজান, সিদ্দিক মাস্টার প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কর ছ ন ক জ কর ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।
জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।
কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।