নাটোরের সিংড়া উপজেলায় তারাবির নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে দুইজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ৭টার দিকে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের তালঘড়িয়া গ্রামে সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে তালঘড়িয়া গ্রামের মো. ইয়াছিনের ছেলে ইসরাফিল হোসেন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য মাদ্রাসায় তারাবি নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। তবে ওই মুয়াজ্জিনের পিছনে তারাবির নামাজ আদায় করতে অস্বীকার করেন কিছু মুসল্লি। পরে তারা সুকানগাড়ি গ্রাম থেকে ইউনুস আলী নামে একজন ঈমাম নিয়ে এসে আলাদাভাবে খোলা স্থানে নামাজ আদায় করেন। এ ঘটনায় মুয়াজ্জিন ইসরাফিলের বাবা মো.

ইয়াছিন প্রতিবাদ করলে একই গ্রামের রুহুল আমিন, কুরবান, মহব্বত, রানাসহ ৪/৫ জন ইয়াছিন ও হান্নানসহ কয়েকজনকে মারপিট করেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতরা সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়ি যায়।

সিংড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ আসেনি।
 

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ