আইসিসি টুর্নামেন্টের সেঞ্চুরি কিং রাচিন
Published: 5th, March 2025 GMT
আইসিসি টুর্নামেন্ট মানেই যেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্রর সেঞ্চুরি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার আইসিসির দুই ওয়ানডে টুর্নামেন্ট খেলেই পাঁচ সেঞ্চুরি করেছেন।
ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ সেঞ্চুরিই আইসিসির টুর্নামেন্টে পাওয়া প্রথম ব্যাটার রাচিন। তিনি ভেঙেছেন বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রেকর্ড। রিয়াদ তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চার সেঞ্চুরি করেছেন। চারটিই তিনি পেয়েছেন আইসিসির টুর্নামেন্টে।
রাচিন রবীন্দ্র ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে তিন সেঞ্চুরি করেছিলেন। মধ্যে আর কোন শতরানের ইনিংস আসেনি তার ব্যাট থেকে। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতে ইনজুরির কারণে খেলতে না পারা রাচিন দুই সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন।
ইনজুরি কাটিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমেই দারুণ এক সেঞ্চুরি করেন কিউই অলরাউন্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অন্য সেঞ্চুরিটি এসেছে তার ব্যাট থেকে। ৩২ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি রাচিনের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
এর আগে বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ ২০১৫ বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। আইসিসির টুর্নামেন্টে সেবারই প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৭’র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপেও সেঞ্চুরি পান রিয়াদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইস স র
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।