জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের সঙ্গে অনেক বিষয়েই ঐকমত্য দেখা গেছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ মূলধারার ইসলামপন্থী দলগুলোর। তবে সংবিধানের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘গণপরিষদ’ গঠন ও ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যে রাজনৈতিক লক্ষ্য প্রকাশ করেছে, তাতে সবাই একমত নয়।

জামায়াত মনে করে, ‘গণপরিষদ’ ও ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ কীভাবে হবে, সেটার কোনো ব্যাখ্যা আসেনি। এই পদক্ষেপ বিতর্ক তৈরি করতে পারে।

ইসলামী আন্দোলন মনে করে, সংবিধানের ব্যাপক সংস্কার অনুমোদনে ‘গণপরিষদ’ হতে পারে। ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠায়ও তাদের আপত্তি নেই। তবে এসব করতে গিয়ে যাতে কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি না হয়।

৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের সঙ্গে জামায়াতসহ ইসলামপন্থীদের কোনো বিষয়ে তেমন মতবিরোধ দেখা যায়নি। এখন ‘গণপরিষদ’ ও ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ নিয়ে বিতর্কে কিছুটা মতভিন্নতা সামনে আসছে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ন ড র প বল ক ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ