চাঁদা না দেওয়ায় ভেঙে ফেলা হলো সীমানাপ্রাচীর
Published: 6th, March 2025 GMT
পাবনার গাছপাড়ায় এ আর খান প্রজেক্টে চাঁদা না দেওয়ায় তিন কাঠা জমির প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রজেক্ট ম্যানেজার জহরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ আর খান প্রজেক্টের আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে ২০০৮ সালে আর এস খতিয়ানভুক্ত তিন কাঠা জমি কেনেন আলমগীর হোসেন। ওই জমিতে সীমানা প্রাচীর করতে প্রজেক্ট ম্যানেজার জহরুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা নেন। প্রাচীর করা হলে তিনি আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় পাশের জমির মালিক ডা.
একই প্রজেক্টে ২০১০ সালে সাড়ে চার কাঠা জমি কেনেন জাহাঙ্গীর হোসেন। আজ পর্যন্ত দখল পাননি। তাদের মতো অনেকেই এই প্রজেক্ট থেকে জমি কিনে প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে এ আর খান প্রজেক্ট ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আলমগীর হোসেনকে তিন কাঠা জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সীমানাপ্রাচীরও দিয়েছেন। কিন্তু পাশের জমির মালিক ডা. শফিকুল ইসলাম ডিআইজি সাহেবের ভয় দেখিয়ে ওই প্রাচীর ভেঙে দেন। প্রাচীর ভাঙার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
পাবনা সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। কিন্তু ডা. শফিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে কেউ না আসায় মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে মাউশির দপ্তরে দুদকের অভিযান
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কলেজের নতুন এমপিও ভুক্তির আটকে রাখা ৯১টি ফাইল পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার দুপুরে ওই কার্যালয়ের কলেজ শাখার উপপরিচালক আলমগীর কবির টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না, এমন অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক।
দুদকের ভাষ্যমতে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য ১৫২টি আবেদন পড়ে৷ ফাইল প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের কাছে দাখিল হয়। এরমধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পেরে ৪৭টি বাতিল হয়। এরপর তিনি সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। আলমাস উদ্দিন তা উপপরিচালক আলমগীর কবিরের কাছে পাঠিয়েছেন। আলমগীর কবির ৯২টি পরিচালকের কাছে পাঠাননি। এই ফাইল পাঠানোর জন্য মাত্র দুই দিন সময় রয়েছে।
অভিযান চলাকালে অফিসে ছিলেন না আলমগীর কবির। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, এমপিওভুক্তি ও বদলির ক্ষেত্রে অন্তত লাখ টাকা ঘুষ না দিলে ফাইল পাঠানো হয় না। এর আগে গেল ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে দুদক আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল।
মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠাতে বললেও, তিনি নানা তালবাহানায় সেটা করেন না।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখেন এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল দুদক। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠান হবে।