‘মানুষ অপেক্ষায় বাঁচে, আর অপেক্ষা বাঁচে আশায়’—‘ঘুমপরী’র বহুল চর্চিত সংলাপ। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে জাহিদ প্রীতমের সিনেমাটি। মুক্তির আগে থেকেই টিজার, ট্রেলার আর প্রচারজুড়ে এই ‘অপেক্ষা’। বোঝাই যাচ্ছিল, সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়জুড়ে আছে ‘অপেক্ষা’। দেখার পর এ অপেক্ষা কতটা সার্থক হলো?

একনজরে
সিনেমা: ঘুমপরী
ধরন: রোমান্টিক ড্রামা
নির্মাতা: জাহিদ প্রীতম
অভিনয়: প্রীতম হাসান, তানজিন তিশা, পারশা মাহজাবীন
দৈর্ঘ্য: ১ ঘটনা ৫৩ মিনিট
স্ট্রিমিং: চরকি

প্রেম, বন্ধুত্ব, নস্টালজিয়ার মোড়কে আবেগের গল্প বলেন জাহিদ প্রীতম। ‘বুকপকেটের গল্প, ‘তিলোত্তমা’ থেকে ‘ফ্রেঞ্জি’—নির্মাতার এসব কাজ দেখা দর্শকমাত্রই সেটা জানেন। ‘ঘুমপরী’তেও এসবই আছে।

গল্পটা মেঘ, উষা আর জ্যোতির। কারও সঙ্গেই কারও ঠিক প্রেম ছিল না, তবু তাঁদের ঘিরে তৈরি হয় ভালোবাসার এক অদৃশ্য ত্রিকোণ। মেঘ বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া যুবক, জ্যোতি পাহাড়প্রেমী তরুণী। ভালোবাসে স্কেচ করতে। দুজন একই বিভাগে পড়ে। একদিন দূর থেকে মেঘকে দেখে জ্যোতির ভালো লেগে যায়। মুঠোফোনে মেসেজ পাঠায় জ্যোতি, কিন্তু পরিচয় খোলাসা করে না।

‘ঘুমপরী’র দৃশ্য। চরকির সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘ মপর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ