চারদিন বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১৩ জেলেকে উদ্ধার করল কোস্ট গার্ড
Published: 6th, March 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে চারদিন ধরে ভাসতে থাকা ১৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ার কারণে সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় আটকা পড়া একটি ফিশিং ট্রলার থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার দুপুর ২টায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে কোস্ট গার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত অভিযানে নামে।
‘এমভি মা বাবার দোয়া’ নামের ওই ফিশিং ট্রলারটি চারদিন ধরে ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় বঙ্গোপসাগরের দুবলারচরের আলোরকোল থেকে প্রায় ১০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে ভাসছিল। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন আউটপোস্ট দুবলা থেকে চার সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ট্রলারটির অবস্থান শনাক্ত করে এবং বৃহস্পতিবার সকালে ১৩ জন জেলেকে সফলভাবে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর ট্রলারসহ জেলেদের নিরাপদে দুবলার চরে নিয়ে আসা হয়। জানা গেছে, বরগুনার পাথরঘাটা থেকে মাছ ধরতে ১২ দিন আগে সমুদ্রে যাত্রা করেছিল এই ট্রলারটি। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ার কারণে তারা চারদিন ধরে সাগরে ভাসছিলেন এবং খাবার ও পানির সংকটে পড়েন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।
অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ঋত্বিক ঘটক