বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা অস্বীকার করেছিল, তাদের ভুলি নাই: জয়নুল আবদিন
Published: 6th, March 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অস্বীকার করেছিলেন, আমরা তাঁদের ভুলি নাই। জামায়াতের কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন? আপনারা যাদের সঙ্গে আঁতাত করতে চেয়েছিলেন, তাঁরা (আওয়ামী লীগ) তো এখন নেই। এখন নতুন করে ইউনূস সরকারকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন আপনারা। দয়া করে ভুয়া আইডি, ফেসবুক বন্ধ করেন।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্যাহ, সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হান্নান প্রমুখ।
জামায়াতের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন আরও বলেন, জামায়াত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চাইছে। সংসদ নির্বাচন হচ্ছে জনগণের অধিকার আদায়ের একমাত্র স্থান। তাই আগে দরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্দেশে জয়নুল আবদিন বলেন, ‘আপনারা নতুন দল। গ্রামে আসেন। স্বাগত জানাই। দল করেন, নমিনেশন নেন। যাচাই করেন কত ভোট পাবেন।’
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে আমরা এখনো আপনাদের সামনে উপস্থিত। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করবে। আওয়ামী লীগের মামলায় ৪০ লাখ নেতা-কর্মী জেলে গিয়েছিল। এই ফকিরহাট থেকে অনেক নেতা হাজিরা দিতে মাইজদী গিয়ে কান্নায় চোখ ভাসিয়ে দিয়েছিল।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জয়ন ল আবদ ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।