অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তার স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। টিপু মুনশির দুই মেয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।

টিপু মুনশির বিরুদ্ধে করা মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নিজের ও নিজ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জমা ও ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩২ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন, হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করেছেন। 

টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পরিমাণ সম্পদ তিনি ভোগ-দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪-এর ২৭(১) ধারা লঙ্ঘন করেছেন। 

এজাহারে টিপু মুনশির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং আইন-২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। 

গোপন অনুসন্ধানে সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশির দুই মেয়ে তানিয়া অনন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশির নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব বিবরণী পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও তাদের নামে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। তাদের বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ণ জ যমন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ