মেট্রোরেলে নারী–শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
Published: 6th, March 2025 GMT
মেট্রোরেলে নারীদের কোচে উঠে পড়া পুরুষ যাত্রীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নিলুফার পারভিন মিতু নামে এক যাত্রী ফেসবুকে বিষয়টি তুলে ধরেন, যা নজরে এসেছে মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষেরও। বিষয়টি তারা অনুসন্ধান করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
পেশায় চিকিৎসক নিলুফার পারভিন ‘বাংলাদেশ মেট্রোরেলওয়ে ইনফরমেশন’ নামে ফেসবুক গ্রুপে লিখেছেন, ‘বুধবার বিকেলে তিনি মেট্রোরেলে উঠেছিলেন ফার্মগেট স্টেশন থেকে। নারীদের জন্য সংরক্ষিত একমাত্র বগিতে ১০-১২জন পুরুষ ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে তারা এক শিশুসহ নারীদের শ্লীলতাহানি করেন।’
ঘটনার বর্ণনায় নিলুফার বলেন, ‘ফার্মগেট স্টেশন ছাড়ার পর এক নারী কাঁদতে কাঁদতে দরজার দিকে এসে ট্রেন থেকে বের হওয়ার জায়গা দিতে বলেন। সে সময় কারণ জানতে চাইলে ওই নারী ও তার শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা জানান।’
নিলুফার আরও বলেন, ‘ওই নারী বলছিলেন, তার মেয়ে ও তাকে বাজেভাবে অ্যাবিউজ করা হয়েছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি নারীদের কামরায় কীভাবে সম্ভব। পরে ওই নারী পেছনের দিকে দেখেন, সেখানে ১০-১২ পুরুষ যাত্রী ছিল। তারাই মেয়েদের হয়রানি করছিলেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রভা মাহবুব বলেন, ‘কারওয়ানবাজার থেকে ট্রেনে ওঠার পর তিনি ওই বগিতে কয়েকজন পুরুষকে দেখতে পান। ফার্মগেট স্টেশন পার হওয়ার পর একটি মেয়ে চিৎকার করে উঠলে তার মা বিষয়টি নিয়ে অন্যদের কাছে নালিশ করেন। ওই ঘটনার পরপর বাচ্চাটির মা-ও কান্নাকাটি শুরু করেন। তখন সবাই মিলে ওই বগি থেকে পুরুষদের নেমে যেতে বলেন। আগারগাঁও থেকে দু–তিনজন করে তারা নেমে গেছেন, সবার শেষে মিরপুর ১০ নম্বরে যারা ছিলেন, তাদেরকে অন্য কম্পার্টমেন্টে পাঠানো হয়।’
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তায় গত তিন দিন ধরে পুলিশ আছে। বিষয়টি জানার পর ইনভেস্টিগেশন করছি। তবে কোন স্টেশনের ঘটনা, কোন স্টেশনে গিয়ে উনারা অভিযোগ করেছেন, সেটা পোস্টে না থাকায় বিস্তারিত জানতে পারছি না। তারা যদি যোগাযোগ করে তাহলে হয়ত পুরো বিষয়টি জানা যাবে। এ নিয়ে এমআরটি পুলিশের ডিআইজির সঙ্গেও কথা বলেছি।’
নারীদের কামরায় পুরুষ ওঠা নিষেধের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এরপরও তা না মানা দুঃখজনক। এটা মেনে চলা উচিত। কিন্তু অনেকের ক্যারেক্টারই হয়ে গেছে আইন অমান্য করা। এমন হলে কীভাবে চেইঞ্জ করব! মেট্রোরেলে পুলিশ এরই মধ্যে দায়িত্ব পালন করছে। তারা যেন নারীদের নির্ধারিত কামরার পাশের কামরায় অবস্থান করেন সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।
কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক
মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা
তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/অনিক/বকুল