মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 6th, March 2025 GMT
নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নীলফামারী চৌরঙ্গি মোড় চত্বরে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্সের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আহমেদ রায়হান, জজ কোর্টের জিপি আবু মো.
নীলফামারী থেকে মেডিকেল কলেজ সরানোর ষড়যন্ত্র না করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, এই ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকলে নীলফামারীবাসী এক হয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। মেডিকেল কলেজ না সরিয়ে এলাকায় একটি পাবলিক কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি করেন বক্তারা।
নীলফামারী মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চালু রাখা এবং দ্রুত স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের দাবিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
নীলফামারী/সিথুন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ
এছাড়াও পড়ুন:
চারঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের একজন নারী একটি ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাতে লেখা ছিল ‘নদী আমাদের মা, মায়ের বুক ভাঙা চাই না।’ এ রকম আরও বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষেরা।
জেলার চারঘাট উপজেলা সদরে নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মার ভাঙনকবলিত পাঁচটি গ্রামের মানুষের উদ্যোগে আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এই আয়োজন হয়।
গ্রামবাসীর ভাষ্য, চারঘাট উপজেলার গোপালপুর, রাউথা, পিরোজপুর, সাহাপুর এবং বাঘা উপজেলার চক রাজাপুর, আতারপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করা হলে আগামীতে ভাঙনের ঝুঁকি আছে। এই আশঙ্কায় ভাঙনকবলিত গ্রামবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন চারঘাটের পিরোজপুর গ্রামের শাহানাজ বেগম (৪০। তিনি বললেন, ‘আমার বাড়ি নদীর পাড়ের ওপরে ঝুলি আছে। যকুন তকুন ভাইঙ্গি পড়বি।’
একই এলাকা থেকে এসেছেন পারভীনা খাতুন (৩৫)। সঙ্গে তাঁর শিশু ও বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, নদী একেবারে পায়ের তলায় এসে গেছে। তাঁদের আর পেছনে সরার জায়গা নেই।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ। তিনি বলেন, পিরোজপুর, গোপালপুর, সাহাপুর এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে নদীভাঙন অব্যাহত আছে। এলাকার অন্তত ৫০০ মানুষের ঘরবাড়ি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার বাস্তুহারা মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছেন। তাঁরা এলাকায় ফিরতে পারছেন না। এই ভাঙনকবলিত এলাকায় এবার যদি বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অচল করে দেওয়া হবে। তাঁদের অফিস করতে দেওয়া হবে না।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির রহমান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালেক আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শাহীনুর রহমান, ভাঙনকবলিত এলাকার শিক্ষক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।