রূপগঞ্জে টিনশেডের ফার্নিচার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ দোকান ও দুইটি বসত ঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার ভুলতা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান।

 বৃহস্পতিবার ভোররাত সোয়া তিনটার দিকে নুরম্যানসন মার্কেটের পিছনে পারভেজের মালিকানাধীন টিনশেড ফার্নিচার মার্কেট সংলগ্ন বাচ্চু মিয়ার ভাঙারির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন ফার্নিচার মার্কেটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার ও কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে টিনশেড মার্কেটের ১৫ দোকান ও ২টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিদর্শক ওসমান গনি বলেন, ফার্নিচার মার্কেটে আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁও থেকে ৪ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে ইলেকট্রিক শর্ট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সঠিক কারণ তদন্ত করে জানানো যাবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ