২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকের বোনাস-বেতন পরিশোধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ
Published: 7th, March 2025 GMT
আগামী ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাস, সব বকেয়া ও চলতি মাসের বেতন পরিশোধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে শ্রমিক ছাঁটাই, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দেওয়া বন্ধের দাবিও জানানো হয়।
সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবদুল হাই, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অঞ্জন দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পোশাক ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলার সভাপতি শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সম্পাদক নাছির হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি জেলার সভাপতি আব্দুল আল মামুন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে শ্রমজীবী মানুষের জীবন দিশাহারা। দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ ঈদ এলেই কেবল ভাবতে পারে পরিবার–পরিজনের জন্য কিছু ভালো খাবার ও কিছু জামাকাপড় কেনার। এমনিতেই শ্রমিকের মজুরি কম। তাই শ্রমিকেরা ঈদের আগে অতিরিক্ত কাজ করে তাঁদের আয় বাড়ানোর জন্য। কিন্তু মালিকেরা ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে কারখানাগুলোতে সংকট তৈরি করে। অনেক মালিক বোনাস না দিয়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা বকশিশ দেয়, অনেকে হাফ বোনাস দেয়। অনেক গার্মেন্টসে তাও দেয় না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেসিকের সমান বোনাস দেওয়া হয়। অথচ যাদের উৎপাদনের কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসে তাদের ঠিক মতো বোনাস দেওয়া হয় না।
নেতারা আরও বলেন, শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পূর্ণ বোনাস দিতে হবে। ঈদের আগে শ্রমিকের চলতি বেতন পাওয়া ন্যায্য। শ্রমিকদের বেতন বোনাস ঈদের শেষ মুহূর্তে দিলে শ্রমিক বাড়ি যাওয়ার তাড়ায় ভালো করে কেনাকাটা করতে পারে না। ঈদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে শ্রমিকের পূর্ণ বোনাস ও চলতি মাসের বেতনসহ সমস্ত বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। বেতন–বোনাস নিয়ে মালিকদের গড়িমসির কারণে শিল্প এলাকায় যদি শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তার জন্য মালিক ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ ল র গ র ম ন টস
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।