মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের স্থান যুবদলে হবে না : সজল
Published: 7th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আজকের এই কর্মীসভায় আমাদের সহযোদ্ধা ভাইয়েরা চেয়েছেন মাদক মুক্ত একটি কমিটি। এই গোগনগর ইউনিয়ন মাদকের একটি বড় জনপদ। তাই বলতে চাই মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কোন জায়গা পাবে না।
আমরা প্রত্যেকটা নেতা সার্টিফিকেট পরীক্ষা করে দেখব। কার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা। যদি মিথ্যা হয়ে থাকলে মুক্তি পাবেন, আর যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে যুবদলের জায়গা পাবেন না।
গোগনগর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মিলিয়ে যদি আমি পাঁচজন করে নেতা ধরে তাহলে আপনারা ৫০ জন পাবেন। আপনারা সলিট লোক যারা দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে রাজপথে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আমি কিন্তু অনেকেরই চিনি যারা আমাদের সাথে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অন্তর্ভূক্ত গোগনগর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল তিনটায় সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে গোগনগর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মন্টু ও কাউসারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও যুবদল থেকে শুরু করা অঙ্গ সংগঠনের যার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে দল থেকে বহিষ্কার পর্যন্ত করছেন। তিনি এমন একজন নেতা তার নিজ দলের নেতাকর্মীকেও কিন্তু তিনি ক্ষমা করেন নাই।
যেই নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন দলের জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদেরকেও তিনি ক্ষমা করেন নাই। তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু তিনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন কোন জায়গায় মামলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সুতরাং আমি বলতে চাই আপনারা সাবধান হয়ে যান আপনার কোন অপরাধ অপকর্মের সাথে লিপ্ত হবেন না। যদি কোন অপরাধও অপকর্ম করেন তাহলে কিন্তু আপনাদেরকে যুবদলের জায়গা হবে না। আরো কিন্তু বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে তাদের দলে কিন্তু কোন অপরাধ করলে শাস্তির কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সব দলকে দেখে নিই সেসব দলের নেতাকর্মীরা উপকর্ম করেছে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের দলে কেউ যদি কোন প্রকার অপকর্ম করেছে তাহলে তাদেরকে কিন্তু সাথে সাথে শাস্তির ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আপনারা কেউ কোনো অপকর্মের সাথে জড়িত হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবসে একটি কথা বলতে চাই। আমাদের এই মহান নেতাকে কারাগারে নিয়ে কিন্তু হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের নেতার কিন্তু কোমরের হাড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল।
আল্লাহর অশেষ রহমতে উনি এই বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ১৭ টি বছর ধরে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাই আমরা চাই আল্লাহ অতি দ্রুতই ওনাকে চিকিৎসার শেষে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুবায়ের আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র রহম ন য বদল র ল ইসল ম ব যবস থ অপকর ম ন ত কর র ম কর কর ম ক কর ম র আম দ র আপন র অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।
যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।
তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।
যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।
আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।