ইউক্রেনের ওপর বৃহস্পতিবার রাতে বড় ধরনের হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছেন।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে শুক্রবার লিখেছেন, “রাশিয়া এই মুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের উপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালাচ্ছে। এই সত্যের উপর ভিত্তি করে, আমি রাশিয়ার উপর বৃহৎ আকারের ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের কথা দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করছি যতক্ষণ না যুদ্ধবিরতি এবং শান্তির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চুক্তিতে পৌঁছানো হয়।”

রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “রাশিয়া এবং ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে বলছি, এখনই আলোচনার টেবিলে বসুন, অনেক দেরি হওয়ার আগেই। ধন্যবাদ!!!”

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে ট্রাম্পের এই হুমকি অবশ্য নতুন কিছু নয়। জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, পুতিন যুদ্ধ শেষ না করলে উচ্চ শুল্ক এবং আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ