হালুয়াঘাটে ৬৫০ টাকায় মিলছে গরুর মাংস, খুশি ক্রেতারা
Published: 7th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে স্বল্পআয়ের মানুষদের জন্য সুলভ মূল্যে সবজি, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রির হাটের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে ৬৫০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস এবং ১১০ টাকায় ১ ডজন ডিম ও ২৫ টাকায় শসা ও ২০ টাকায় টমেটোসহ অন্যান্য সবজি কিনতে পারায় খুশি ক্রেতারা।
শুক্রবার ১০টার দিকে উপজেলার জয়িতা মহিলা মার্কেট চত্বরে এই হাট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান।
স্বল্পমূল্যের এই হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ৬৫০ টাকা দরে মাংস কিনছেন ক্রেতারা।
ক্রেতারা জানান, স্থানীয় বাজারে গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও প্রতি ডজন ডিম খুচরা বাজারে ১৩৫-১৪০ টাকায়, সবজি বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। এখানে তারা কিছুটা কম দামে পাচ্ছেন। এতে ১০০-৩০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে তাদের।
বাজারে গরুর মাংস নিতে আসা আশরাফ আলী বলেন, সাধারণ বাজারের চেয়ে মাংস ১৫০ টাকা কমে পাচ্ছি। এট আমাদের মতো গরিবের জন্য অনেক কিছু। আমরা অনেক খুশি।
বাজারে আসা দিলরুবা নামে এক নারী ক্রেতা জানান, আমার বাড়ি শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। আজ শহরে অন্য কাজে আসছিলাম। এখানে মাংসের দাম কম থাকায় ১ কেজি গরুর মাংস নিলাম। তবে এই বাজার ইউনিয়ন পর্যায়ে দেওয়া হলে মানুষের আরো উপকার হতো।
জহিরুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারের দামের চেয়ে কিছুটা দাম কম, মূল্য আরো কমানো হলে ভালো হয়। তবে এই ধরনের উদ্যোগ অন্য বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা নিলে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিম্ন আয়ের মানুষকে বাজার থেকে কিছুটা কমমূল্যে গরুর মাংস ও ডিম কেনার সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ। মাসব্যাপী এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গর র ম স
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী