দীর্ঘদিন নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন কণ্ঠশিল্পী মিলা। অবশেষে নন্দিত সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমনের আহ্বানে ফিরলেন গানের ভুবনে। বিরতি ভাঙলেন প্লেব্যাকের মধ্য দিয়ে। ‘ইনসাফ’ নামের নতুন একটি সিনেমার জন্য গাইলেন ভিন্নধাঁচের একটি গান।

‘প্রেম পুকুরে বরশি ফেলে আনবোরে ধরে’–এমন কথায় সাজানো মিলার নতুন গানটি লিখেছেন সুদীপ কুমার দ্বীপ। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন।

প্লেব্যাকের মধ্য দিয়ে মিলার নতুন যাত্রা শুরু নিয়ে সুরকার ইমন বলেন, ‘অনবদ্য গায়কীর মধ্য দিয়ে যে শিল্পী অগণিত শ্রোতা হৃদয় জয় করেছেন, তাঁর আড়ালে চলে যাওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। পাশ্চাত্য সংগীতের মিশেলে এখন যে আধুনিক গান তৈরি হচ্ছে, তা মিলার মতো শিল্পীর কণ্ঠে বেশি মানানসই। তার প্রমাণ অনেকে আগেই পেয়েছেন সংগীতপ্রেমীরা। আমার সুরেও মিলা চারটি গান গেয়েছেন, সেগুলো শ্রোতাদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেসব ভেবেই আবার মিলাকে প্লেব্যাকে ফিরিয়ে আনা। আশা করছি, তার গাওয়া ‘ইনসাফ’ সিনেমার এন্ড টাইটেল গানটি অনেকের ভালো লাগবে।’

মিলার কথায়, ‘‘শওকত আলী ইমন কত বড় মাপের সুরকার তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। তাঁর সৃষ্টির আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য আছে। যখনই তাঁর সুরে গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছে তা লুফে নিয়েছি। তাই এবারও যখন প্লেব্যাকের জন্য প্রস্তাব এলো, তখন এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। আনন্দ নিয়েই ‘ইনসাফ’ সিনেমার প্লেব্যাক করেছি। ভক্তরা আমার কণ্ঠে যে ধরনের গান শুনতে চান, ‘প্রেম পুকুরে’ তেমনই একটি ভিন্নধাঁচের আয়োজন। গানটি অনেকের প্রত্যাশা অনেকটা পূরণ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।”

এদিকে প্লেব্যাকের পাশাপাশি একক গানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পারছেন মিলা। অন্যদিকে শওকত আলী ইমনও ব্যস্ত নানা ধরনের সংগীতায়োজনে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর

গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। তাদের অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলো নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে বিমা দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা–সংক্রান্ত ক্ষতির অজুহাতে বিমা দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, যা বিমাশিল্পের মূলনীতির পরিপন্থী।

আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া এক চিঠিতে বিমা দাবি পরিশোধের অনুরোধ জানান বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সদস্যের কারখানা, গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আকস্মিক এই সহিংসতায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সব ধরনের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্নিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি নিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

চিঠিতে বিটিএমএ সভাপতি জানান, গত ৩ মার্চ সাধারণ বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার উত্থাপিত বিমা দাবি নিয়ে সভা হয়। এতে বিমা দাবি নিয়ে বিভিন্ন বিমাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ ও ব্যাখ্যা দেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাগুলো গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হওয়ায় তা স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক (আইএআর) পলিসির আওতায় কোনো বিমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার মালিকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিমা দাবি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, বিমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির বিধানটির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর