ঈদের সময় গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে বাসাবাড়ি, দোকানপাটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজ দায়িত্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মো. সাজ্জাত আলী এই পরামর্শ দেন।

পুলিশের জনবলের স্বল্পতা থাকার তথ্য জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.

সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আর এক সপ্তাহ পর ঢাকাবাসীর অনেকে নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন। আপনারা যখন বাড়ি যাবেন, তখন নিজ দায়িত্বে ফ্ল্যাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবেন।’

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আজ শনিবার রমজানের ৭ তারিখ। তারাবিহ সাতটি হয়ে গেছে। ঢাকাবাসী তারাবিহর নামাজ পড়তে যান। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা তারাবিহতে সময় লাগে। সে সময়টায় একটি জনশূন্যতা রাস্তাঘাটে দেখা যায়। এ সময় বাড়ি, ফ্ল্যাট ও দোকান সযত্নে রেখে আসবেন।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘নগরীর যে ক্রাইম, সেটি হচ্ছে স্ট্রিট ক্রাইম। মুঠোফোন টান দেওয়ার মতো সহজ কোনো ক্রাইম করা যায় কি না, জানি না। পকেট থেকে মানিব্যাগ টান দেওয়া কিন্তু ঝুঁকি। এমনও মুঠোফোন আছে, যার দাম লাখ টাকা। আমরা খবর পাচ্ছি, মুঠোফোনগুলো বর্ডারে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অপরাধীরা মুঠোফোন টান দেয়। উঠতি বয়সের ছেলেরা, আমরা যাদের কিশোর গ্যাং বলি, তারা বাসের যাত্রী, প্রাইভেট কারের যাত্রী, মোটরবাইকের চালকদের মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এ ধরনের অপরাধকে বলা হয় স্ট্রিট ক্রাইম।’

ঢাকা শহর পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরে নানা সমস্যা আছে। ইদানীং ঢাকা মহানগরীতে বড় ধরনের অপরাধ খুন, ডাকাতির মতো অপরাধের সংখ্যা খুবই কম। বিগত বছরের পরিসংখ্যান দেখলে অথবা অন্য দেশের বড় বড় শহরের অপরাধের চিত্রের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের অপরাধের চিত্র কম।’

ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘আমরা কোনো ঘটনা, কোনো কিছুতে মামলা রেকর্ড করতে বাদ রাখব না। আমি বলেছিলাম, আমার তেজগাঁও থানায় যদি ৫০০ মামলা রেকর্ড হয়, সেই দায়দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। আপনারা কোনো মামলা নিতে না করবেন না বা গড়িমসি করবেন না। ঘটনার সত্যতা থাকলে আমরা মামলা নিয়ে থাকি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স জ জ ত আল র অপর ধ অপর ধ র ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ