বিদেশ থেকে কতটুকু সোনার গয়না আনলে শুল্ক দিতে হবে না
Published: 21st, October 2025 GMT
এক ভরি সোনার দাম বেশ কয়েক দিন আগেই দুই লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোনা দিন দিন আরও দামি হয়ে যাচ্ছে। মধ্যবিত্তের সোনার গয়না পরার শখ যেন দিন দিন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বিদেশ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনার গয়না আনলে আপনাকে কোনো শুল্ক-কর দিতে হয় না। ফলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্য দেশ থেকে দেশে ফেরার সময় আপনি শুল্কমুক্ত সুবিধায় সোনার গয়না আনতে পারবেন। আবার নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ক দিয়ে স্বর্ণপিণ্ড বা সোনার বার দেশে আনার সুযোগ আছে।
অপর্যটক যাত্রীদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় চলতি অর্থবছর থেকে সোনার অলংকার ও সোনার বার ও মুঠোফোন আনার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বাজেটের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই বিধিমালা জারি করেছে।
কতটুকু সোনার গয়না শুল্কমুক্তনতুন ব্যাগেজ বিধিমালা (অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫) অনুসারে, বিদেশফেরত একজন যাত্রী কোনো শুল্ক ছাড়াই বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার আনতে পারবেন। এর মানে, প্রায় আট ভরি ১০ আনার সোনার গয়না আনলেও কোনো শুল্ক নেই। অন্যদিকে রুপার অলংকার আনতে পারবেন ২০০ গ্রাম। তবে সোনা বা রুপা যা–ই হোক না কেন, একই ধরনের গয়না ১২ পিসের বেশি আনা যাবে না।
এ ছাড়া নতুন বিধিমালার আওতায় তোলাপ্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে একজন যাত্রী বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০ তোলা ওজনের একটি সোনার বার আনতে পারবেন।
কীভাবে আনবেনযাত্রীরা বাংলাদেশের বিমানবন্দরে নামার পর একটি ফরম পূরণ করতে হয়। ফরমটির নাম ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম। সেখানে নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ফ্লাইট নম্বর, জাতীয়তা, কোন দেশ থেকে এসেছেন—এসব তথ্য দিতে হয়। সেখানে জানাতে হয়, শুল্ক দিতে এমন এমন আনা কোনো পণ্য আছে কি না, থাকলে বিবরণী লিখতে হয়।
তবে ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার ও ২০০ গ্রাম রুপার অলংকারের কম থাকলে এসব ফরম পূরণ করতে হবে না। এর বেশি থাকলে বাড়তি অংশের জন্য শুল্ক বসবে।
ব্যাগেজ রুলসের আওতায় শুল্ক বসবে না, এমন কোনো পণ্য থাকলে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে সরাসরি বের হয়ে যেতে পারবেন।
এক ভরি সোনার দাম ২,১৬,৩৩২ টাকাদেশে এখন ২২ ক্যারেট সোনার দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।
সরাসরি আমদানি না হওয়া কিংবা কমোডিটি এক্সচেঞ্জে বেচাকেনা না হলেও বৈশ্বিক বাজারে দাম বাড়লে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। বৈধ পথে আমদানি না হওয়ার কারণে ব্যাগজ রুলসে আসা সোনা জোগানের বড় উৎস হয়ে উঠেছে। সে জন্য বিশ্ববাজারের তুলনায় দাম ভরিপ্রতি কয়েক হাজার টাকা বেশি হয়। আবার করোনার পর ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হওয়ার কারণেও সোনার দাম তুলনামূলক বেশি হারে বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস এক পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ৯০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। এদিকে ব্যাংক অব আমেরিকা গ্লোবাল রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম পাঁচ হাজার ডলারে পৌঁছাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন র গয়ন র অল ক র প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে ‘নদী বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও, বাঁচাও নারায়ণগঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনার
আড়াইহাজারে আমরা নারায়ণগঞ্জ এর সন্তান সমাজ কল্যাণ সংগঠন এর আয়োজনে ‘ নদী বাঁচাও পরিবেশ বাঁচাও বাঁচাও নারায়ণগঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল ১১ টায় সংগঠনের সভাপতি মোঃ মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ -২ সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুর রহমান। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা নারায়ণগঞ্জের নদী ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি বলেন, নরসিংদী ও মাধবদী থেকে ডাইংয়ের কেমিক্যালের বিষাক্ত পানি আড়াইহাজারসহ নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ নদ নদী দূষণ করছে, এ অঞ্চলে শতাধিক সাইজিং মিল ও ইট ভাটার কালো ধোঁয়া পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
যে সকল প্রতিষ্ঠান নদ, নদী এবং পরিবেশ দূষণ করে নারায়ণগঞ্জের লাখ লাখ মানুষের জীবনের ক্ষতি করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। প্রধান অতিথি আশ্বস্ত করেন আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন গড়ে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রধান আলোচক বলেন, পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন বদ্ধপরিকর। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহাদুল ইসলাম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা জলি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক সহ শিক্ষক ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগন।