কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়া কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের বি-২১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ রফিক (৩৩)। তিনি আশ্রয়শিবিরের বি-২১ ব্লকের বাসিন্দা শামসু আলমের ছেলে।  প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আরিফ হোসাইন। রোহিঙ্গা নেতাদের উদ্ধৃত করে ওসি বলেন, মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুকের ডান পাশে গুলি লেগে রফিকের মৃত্যু হয়েছে।

ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, গুলিবিদ্ধ যুবককে আশপাশের রোহিঙ্গারা উদ্ধার করে পাশের বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৯) একটি বেসরকারি সংস্থার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আশ্রয়শিবিরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছে। রাত ৯টার দিকে আরসার ১০-১২ জনের একটি রোহিঙ্গা সশস্ত্র দল আশ্রয়শিবিরের বসতিতে ঢুকলে আরএসও সদস্যরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন রফিক।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, এর আগে ৪ মার্চ রাতে উখিয়ার তানজিমারখোলা আশ্রয়শিবিরে তারাবিহর নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে রোহিঙ্গা নেতা ও আশ্রয়শিবিরের হেড মাঝি মোহাম্মদ নুরকে। কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আশ্রয়শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০২৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। গত ৮ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সশস ত র গ ষ ঠ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’

এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু
  • আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
  • হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, স্পষ্ট বার্তা দিলেন অপু
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস
  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
  • প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
  • খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প