মাদারীপুরে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
Published: 9th, March 2025 GMT
মাদারীপুরে বালুর ব্যবসা ও হাট ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ৮০ থেকে ৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আজ রোববার ভোরে নিহত সাইফুল ও আতাউর সরদারের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার পরিদর্শক মো.                
      
				
আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় পুলিশ আটক দুজনসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার খোয়াজপুর টেকেরহাট এলাকার মতিউর রহমান সরদারের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৫২), মৃত পানু ব্যাপারীর ছেলে সুজন মাহমুদ (২৮) ও মো. গনি ব্যাপারীর ছেলে মো. রুবেল ব্যাপারী (৩২)। আসামিদের আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই তিন ভাই হলেন আতাউর রহমান সরদার ওরফে আতাবুর (৩৫), সাইফুল ইসলাম ওরফে হিটার সাইফুল (৩০), তাঁদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার (১৭)। আতাউল ও সাইফুল সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার বাড়ি এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে ও পলাশ একই এলাকার মুজাম সরদারের ছেলে। নিহত সাইফুল খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত তাজেল হাওলাদার (১৮) ও অলিল সরদারকে (৪০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত অলিল সরদার প্রথম দুজনের বড় ভাই।
আরও পড়ুনমাদারীপুরে বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যা২২ ঘণ্টা আগেআজ সকালে সরেজমিন খোয়াজপুর টেকেরহাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাটবাজারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম। আশপাশে মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক কাজ করছে। নারীরা বাড়ির বাইরে বের হলেও পুরো গ্রামই প্রায় পুরুষশূন্য। এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো এলাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
মামলার বাদী সুফিয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার তিন সন্তানকেই পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। দুই সন্তানকে ওরা মাইরা ফালাইছে। এক সন্তান ঢাকায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আরেক ভাইয়ের ছেলেকেও ওরা কুপাইয়া মাইরা ফালাইছে। যারা আমার সন্তানদের মারছে, তাদের বিচার চাই, তাদের ফাঁসি চাই।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধভাবে বালুমহাল ও টেকেরহাট এলাকার হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে শাজাহান মোল্লা, মতিউর সরদার, হোসেন সরদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই সাইফুলসহ তাঁর তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরদ র র র সরদ র এল ক র ঘটন য় র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন