ভারতীয় বাংলা সিনেমার নায়ক জিৎ। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ ওয়েব সিরিজে অর্জুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিৎ। বরাবরের মতো এতে মারকাটারি অ্যাকশন লুকে দেখা যাবে তাকে। কয়েক দিন পরই মুক্তি পাবে এটি।

ওয়েব সিরিজের মুক্তি উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জিৎ। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, অনেকে মনে করেন সিনেমা বক্স অফিসে হিট হওয়ার জন্য কমার্শিয়াল নায়ক প্রয়োজন। আপনি নিজেও কমার্শিয়াল হিরো। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

এ প্রশ্নের জবাবে জিৎ বলেন, “আমার মনে হয় ভালো গল্প দরকার। দায় একা হিরোর হতে পারে না। ভালো গল্প হলে, সেই সিনেমা হিরো যেমন দাঁড় করাতে পারেন, তেমনি ভিলেনও পারেন।”

আরো পড়ুন:

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিনেত্রী

আমি সৃজিতের হৃদয় ভেঙেছি: ঋতাভরী

খানিকটা ব্যাখ্যা করে জিৎ বলেন, “সিনেমায় উল্লেখযোগ্য কমিক চরিত্র থাকলে, তিনিও সিনেমা দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন। নারী চরিত্ররাও পারেন। আসলে মনে রাখার মতো চরিত্র চাই। আমার বিশ্বাস, ভালো গল্পের বিকল্প আগেও ছিল না, এখনো নাই।”

ব্লকবাস্টার সিনেমার সংলাপও দর্শক মনে রাখেন। তা উল্লেখ করে জিৎ বলেন, “এমন অনেক ব্লকবাস্টার সিনেমা আছে, যার চরিত্রদের আমরা মনে রেখেছি। সেই চরিত্রের বলা কোনো একটি সংলাপ চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।”

‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ ওয়েব সিরিজে জিতের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চোপড়া। এছাড়াও অভিনয় করেছেন— প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, পরমব্রত চ্যাটার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, চিত্রাঙ্গদা সিং প্রমুখ। আগামী ২০ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে এটি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝুট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা নিতে সশস্ত্র মহড়া

ঝুট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়ানো এনামুল শিকদার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ। তাদের সশস্ত্র মহড়া দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় একদল পুলিশ। পরে 
এনামুল শিকদার ও তাঁর সহযোগী সুমন মিয়াকে আটক করে পুলিশ। 
গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার ফকিরা গ্রুপের সিএ নিটওয়্যার নামে একটি কারখানার সামনে এই ঘটনা ঘটে। জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।  
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের হাতে আটক এনামুল শিকদার নিজেকে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ভবানীপুর এলাকার আব্দুল বাতেন শিকদারের ছেলে। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই কারখানায় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়ে ঝুটের ব্যবসা করেন জাহাঙ্গীর শিকদার ও বদরে আলম বাদল। তাদের কাছ থেকে সাব-কন্ট্রাক্টে ঝুট বের করে 
নেন একই এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান। 
মাহমুদুল হাসান জানান, গত সোমবার রাতে এনামুল শিকদার টেলিফোন করে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লাহর নাম বলে তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ৫ লাখ টাকা আতাউর মোল্লাহকে দিতে হবে বলে মাহমুদকে জানান এনামুল। না দিলে আর ব্যবসা করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন। পরে মঙ্গলবার সকালে এনামুল শিকদার লাঠি, দাসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিয়ে কারখানার সামনে আসে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ৩০-৪০ জন। এক পর্যায়ে তাঁকে রাস্তায় পেয়ে আক্রমণ করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি রক্ষা পেলেও তাঁর স্বজন 
শামসুল আলম ও সাখাওয়াতের ওপর হামলা হয়। আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মহড়ার একাধিক ভিডিও ফেসবুকে 
ভাইরাল হয়েছে।
এনামুল শিকদারের ছাত্রদল পরিচয়ে ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা হয় গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লাহর সঙ্গে। তার ভাষ্য, অভিযুক্ত এনামুল শিকদারের সঙ্গে তাঁর কোনো পরিচয় বা সম্পর্ক নেই। এনামুল দলেরও কেউ না। তাঁকে আটক করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় মাহমুদুল হাসানের চাচাতো ভাই ফারহান হোসেন প্রধান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন। 
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ জানান, এনামুল ও সুমন নামে দু’জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ হেফাজতে থাকার কারণে এনামুল শিকদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ