বগুড়ার আদমদীঘিতে পৃথক স্থানে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের অস্বভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূ শম্পা বেগম (১৮), বিষাক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট সেবনে ভ্যানচালক আব্দুস ছালাম (৩৫) ও ট্রেনে কাটা পড়ে রেল কর্মচারী ছায়ফুল ইসলাম (৩৮) মারা যান। এসব ঘটনায় আদমদীঘি ও সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার বিকেলে সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনি এলাকার এনামুল হকের স্ত্রী শম্পা বেগম ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

একই দিন বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সুদিন গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুস ছালাম বাড়িতে বিষাক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। 

রোববার ছাতিয়ানগ্রাম রেলগেটের কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান রেলওয়ে খালাসি সান্দিড়া গ্রামের ছায়ফুল ইসলাম। তিনি রেললাইনের পাথর টানার কাজ করার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসে কাটা পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রেললাইনে কাজ করার সময় পাশের একটি ট্রাক্টরের শব্দের কারণে ট্রেন আসার বিষয়টি বুঝতে পারেননি তিনি। এতে ছায়ফুল ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ও সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফুল ইসলাম বকুল (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের আদমদীঘির অদূরে আশা ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আরিফুল ইসলাম আদমদীঘি উপজেলার কেশরতা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি নওগাঁর একটি দোকানে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করতেন।

আদমদীঘি থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আরিফুল ইসলাম বকুল নওগাঁ একটি দোকানে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের মেকানিকের কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার রাতে নওগাঁ দোকানে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে তার বাড়ি কেশরতা গ্রামে ফেরার পথে আদমদীঘির আশা ফিলিং স্টেশনের সামনে অজ্ঞান একটি যান তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয় জনতা তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত