১ উইকেট নিয়েও যেভাবে ‘সবার ওপরে’ শামি
Published: 9th, March 2025 GMT
মোহাম্মদ শামির আরেক নাম হতে পারে ফাইনাল-শিকারি! ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এখন সবচেয়ে বেশি (১০) উইকেটের মালিক ভারতীয় পেসার। এত দিন যে রেকর্ডটা ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। আজ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেট নিয়েই স্টার্ককে ছাড়িয়ে সবার ওপরের চেয়ারে বসেছেন শামি।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দিল্লিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে জাতীয় দলে পথচলা শুরু শামির। এরপর ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে প্রথম কোনো আইসিসির ফাইনালে অংশ নেন এই পেসার। সেবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই ৪ উইকেট তুলে নেন শামি। যদিও ম্যাচটা ৮ উইকেটে জেতে কিউইরা। এরপর ২০২৩ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংসে ২টি করে মোট ৪টি উইকেট নেন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেন আরেক উইকেট। আজ কিউইদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিলেন নিজের দশম ফাইনাল উইকেট। ভাঙলেন স্টার্কের রেকর্ডও।
অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক আইসিসির টুর্নামেন্টে পাওয়া ৮ উইকেটের ৫টিই পেয়েছিলেন দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে। যার মধ্যে ২০১৫ সালে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় অনেকখানি বদলে দেন। সেবার মোট ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট–সেরাও হয়েছিলেন এই অজি পেসার। এরপর ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভার বোলিং করে ৫৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
মিচেল স্টার্কের রেকর্ড ভেঙেছেন মোহাম্মদ শামি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।