‘হ্যারি পটার’ সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র অভিনেতা সাইমন ফিশার বেকার মারা গেছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি  নিশ্চিত করেছেন তার সংস্থা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

সংস্থাটির ম্যানেজার বলেন, ‘১৫ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। খুব কাছের একজনকে হারালাম।’ 

প্রসঙ্গত, সাইমন ফিশার ছিলেন একজন ব্রিটিশ অভিনেতা। ‘হ্যারি পটার’-এ হগওয়ার্টসের মুণ্ডকাটা ভূতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। এটি ছাড়াও সাইমন ‘ডক্টর হু’ নামে একটি জনপ্রিয় সিরিজে অভিনয় করেছিলেন। 

বেশ কয়েকটি হিট টেলিভিশন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। কমেডি চরিত্রের জন্যও পরিচিত ছিলেন তিনি। বিবিসির ‘পাপি লাভ’ সিরিজে টনি ফাজাকার্লির চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। 

টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের বাইরেও সাইমন ফিশার বেকারের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতেও অনেকখানি অবদান রয়েছে। সূত্র: ইউএসএ টুডে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত স ইমন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ