ছেলের পর কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’ করেন বাবা
Published: 11th, March 2025 GMT
কাপড় পরিষ্কারের জন্য মেয়েকে মুদি দোকানে পাঠিয়েছিলেন মা। দোকানি বলেছিলেন, দোকানে গুঁড়া সাবান নেই, বাড়িতে আছে। এভাবে কৌশলে দোকান লাগোয়া বাড়িতে নিয়ে ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’ করেন দোকানি। তিনি চলে গেলে তার বাবা এসেও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। বগুড়া সদরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঘটনাটি ঘটে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর রাজশাহীতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মুদি দোকানি নাড়ু গোপাল (৩২)। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার মোগলিশপুর গ্রামে। নাড়ু গোপালের বাবার নাম তুলসী দাস (৬০)।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২ ও র্যাব-৫ এর রাজশাহীর সদর কোম্পানির যৌথ দল গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ হাশিমপুর গ্রাম থেকে নাড়ু গোপালকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
বগুড়ায় র্যাব পরিচয়ে শিক্ষার্থীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার এক
র্যাব জানায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মুদি দোকানি নাড়ু গোপাল কৌশলে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর টেনেহিঁচড়ে তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। নাড়ু গোপাল চলে যাওয়ার পর তার বাবা তুলসী দাস আসেন এবং তিনিও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এরপর সন্ধ্যার পর ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
র্যাব আরো জানায়, ভুক্তভোগী বাড়ি গেলে তার মা তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখেন। তখন কারণ জানতে চাইলে ওই কিশোরী তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। তখন থেকেই পলাতক ছিলেন নাড়ু গোপাল।
র্যাব জানায়, আসামিকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ওই ক শ র ক
এছাড়াও পড়ুন:
হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সংশোধন
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট জারি করা সুপ্রিম কোর্টের ৩৯৭-এ নম্বর বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধন আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরকার এক তথ্য বিবরণীতে বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধনের বিষয়টি জানায়।
সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন যৌথভাবে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন। তারা হাইকোর্টের মূল ভবনের ২৩ নম্বর কক্ষে নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টা ৪০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করবেন।
এ সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইন সংশ্লিষ্ট মামলা, জরুরি ফৌজদারি মোশন, ফৌজদারি আপিল ও জামিন সংক্রান্ত আবেদনপত্র, জেল আপিল, রিভিশন এবং অন্যান্য ফৌজদারি বিবিধ মামলার শুনানি হবে। এছাড়া, বেঞ্চে স্থানান্তরিত বিষয়গুলোতেও শুনানি ও আদেশ দেওয়া হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিএই