কাপড় পরিষ্কারের জন্য মেয়েকে মুদি দোকানে পাঠিয়েছিলেন মা। দোকানি বলেছিলেন, দোকানে গুঁড়া সাবান নেই, বাড়িতে আছে। এভাবে কৌশলে দোকান লাগোয়া বাড়িতে নিয়ে ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’ করেন দোকানি। তিনি চলে গেলে তার বাবা এসেও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। বগুড়া সদরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঘটনাটি ঘটে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর রাজশাহীতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মুদি দোকানি নাড়ু গোপাল (৩২)। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার মোগলিশপুর গ্রামে। নাড়ু গোপালের বাবার নাম তুলসী দাস (৬০)।

র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর সদর কোম্পানির যৌথ দল গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ হাশিমপুর গ্রাম থেকে নাড়ু গোপালকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

বগুড়ায় র‌্যাব প‌রিচয়ে শিক্ষার্থী‌কে অপহরণ, গ্রেপ্তার এক

র‌্যাব জানায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মুদি দোকানি নাড়ু গোপাল কৌশলে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর টেনেহিঁচড়ে তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। নাড়ু গোপাল চলে যাওয়ার পর তার বাবা তুলসী দাস আসেন এবং তিনিও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এরপর সন্ধ্যার পর ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, ভুক্তভোগী বাড়ি গেলে তার মা তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখেন। তখন কারণ জানতে চাইলে ওই কিশোরী তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। তখন থেকেই পলাতক ছিলেন নাড়ু গোপাল।

র‌্যাব জানায়, আসামিকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ওই ক শ র ক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ