কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়ারুল শেখসহ (৪০) তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ক‌রেছে পু্লিশ। সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আসামি ইয়ারুল শেখ উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন শে‌খের ছে‌লে। অপর দুজন হলেন- উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকার মিন্টু শেখের ছেলে সাগর হোসেন (২১) ও নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে তুহিন হোসেন (৩৬)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৮ অ‌ক্টোবর ভোরে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় পুলিশ সদস্য, স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ও দুই মাঝি পদ্মার ওপারে চর সাদীপুর এলাকায় আসামি ধরতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকটি নৌকায় থাকা জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম, এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন সদরুল হাসানের এবং দুদিন পর মুকুল হোসেনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসদের ডুবুরি দল।

এ ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগে জেলেদের নেতা ইয়ারুলকে প্রধান করে আট জনের নামে কুমারখালী থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ২০-২৫ জনকে।

তবে স্থানীয় লোকজন ও জেলেদর ভাষ্য, স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এ সময় তারা জেলেদের মাছ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকটি নৌকার লোকজন এক হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

নিহত মুকুল হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার কালা চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। আর সদরুল হাসান পাবনার আতাইকুলা থানার কাজীপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে। এ ঘটনায় সমকালে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়।

কু‌মারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মো.

সোলাইমান শেখ ব‌লেন, ইয়ারুল দুই পু‌লিশ হত্যা মামলার ওয়া‌রেন্টভুক্ত প্রধান আসামি। তিনি বা‌ড়ি‌তে অবস্থান কর‌ছেন- এমন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। এছাড়াও তার বিরু‌দ্ধে নাশকতাসহ আরও পাঁচ‌টি মামলা র‌য়ে‌ছে। বর্তমা‌নে মামলা‌টি নৌ পু‌লি‌শের তদন্ততাধীন র‌য়ে‌ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিহত

নরসিংদীর রায়পুরায় তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মো. রওনক (১৭) নামের এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রায়পুরার পলাশতলী ইউনিয়নের আশারামপুর এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

নিহত মো. রওনক রায়পুরা সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের মইনুল হোসেনের ছেলে।

রেলওয়ে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত ব্যক্তির স্বজন সূত্র জানায়, মুঠোফোনের ব্যাটারি মেরামত করতে গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নরসিংদী শহরের উদ্দেশে রওনা হয় রওনক। বেলা সাড়ে তিনটায় মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটারের ছাদে চেপে বসে। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরুর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যায় রওনক। রেললাইনের পাথরে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁর লাশ রেললাইন থেকে সরিয়ে আনে ও ঘটনাটি নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। খবর পেয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। এরই মধ্যে তাঁর স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
  • নরসিংদীতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিহত
  • ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়