পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের হামলা, ওসিসহ আহত ৩ কর্মকর্তা
Published: 11th, March 2025 GMT
রাজধানীর পল্লবী থানায় ঢুকে এক যুবক হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে থানার ওসিসহ তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারী আবদুর রাজ্জাক ফাহিমসহ চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম, এসআই শরিফুল ইসলাম ও এএসআই মো. নাসির। তারা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওসি নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ফাহিম নামে ওই যুবক থানায় এসে দাবি করেন, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। এরকম ঘটনা আমার জানা নেই- বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন- আপনি এটা নিয়ে লুকোচুরি করছেন কেন? আপনার ডিউটি অফিসার জানে। তখন ওই যুবককে নিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে যায়। সেখানে অন্যরাও বলেন, এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই। পরে ওই যুবকের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কিছু বলেন না। একপর্যায়ে আমি তার হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হঠাৎ আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। তখন এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক মেরে তার একটি আঙুল ভেঙে দেন। এ ছাড়া এসআই শরিফুলের কপালে ঘুষি মারেন। পরে আমরা তাকে আটক করি।
ওসি জানান, আটকের পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাদেরকেও আটক করা হয়। তাদের বাড়ি গাজীপুর। তারা কেন এমন কাণ্ড করেছেন তা জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পারভেজ শেখ (২০), মানিক শেখ (৪১), সাদ্দাম শেখ (৩৫), শাকিল খান (২৫), ফয়সাল শেখ (২০), আবু সাঈদ শেখ (৪০), সজীব শেখ (১৯), রনি শেখ (৪০), সোহেল সুলতান (২৫), আফ্রিদি শেখ (১৯), মোস্তফা শেখ (৪০), নুরুন্নবী (১৮), আমানুল্লাহসহ (২৫) আরও অনেকে।
গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া থানার আহত এসআই সেলিম মাহমুদ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই এসআইসহ কোটালীপাড়া থানার আরও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।
মাঝবাড়ি গ্রামের কালাম দাড়িয়া ও বংকুরা গ্রামের হাসেম মুন্সি জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বংকুরা গ্রামের রিয়াজুলের কাছ থেকে মাঝবাড়ি গ্রামের ফারুক দাড়িয়া সুদে টাকা নেন । সেই টাকা সময়মত ফারুক সুদে আসলে পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করেন। এতে পাওনাদার রিয়াজুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের পর দুই গ্রামের লোকজন ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায়-দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোটালীপাড়া পাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত রিয়াজুল ও ফারুক দাড়িয়ার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।