কানাডার ইস্পাতের ওপর আরো শুল্ক বৃদ্ধির নির্দেশ ট্রাম্পের
Published: 11th, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন এবং আরো শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। অন্টারিও তিনটি মার্কিন রাজ্যে বিদ্যুৎ রপ্তানির উপর ২৫ শতাংশ সারচার্জ আরোপের পর মঙ্গলবার ট্রাম্প এ নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রুথ সোশ্যালে একটি দীর্ঘ পোস্টে, ট্রাম্প জানিয়েছেন, কানাডা যদি মার্কিন পণ্যের উপর আরোপিত অনির্দিষ্ট শুল্ক বন্ধ না করে তবে তিনি ‘কানাডায় অটোমোবাইল উৎপাদন ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবেন।’
ট্রাম্প লিখেছেন, “কানাডার অন্টারিও থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদ্যুতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের উপর ভিত্তি করে, আমি আমার বাণিজ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছি যে কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হোক, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। এটি আগামীকাল সকালে ১২ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। এছাড়াও, কানাডাকে অবিলম্বে দুগ্ধজাতসহ বিভিন্ন মার্কিন পণ্যের উপর তাদের কৃষিবিরোধী শুল্ক ৩৯০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে, যা দীর্ঘদিন ধরেই অপমানজনক বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমি শিগগিরই হুমকির মুখে থাকা এলাকার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করব। এর ফলে কানাডার এই অপমানজনক হুমকি দূর করার জন্য যা করা দরকার তা দ্রুত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সুযোগ করে দেবে। যদি কানাডা অন্যান্য গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদী শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমি ২ এপ্রিল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা গাড়ির উপর শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করব। এটি মূলত কানাডায় অটোমোবাইল উৎপাদন ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবে। এই গাড়িগুলো সহজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা যায়!”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল ক আর প র উপর
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
প্রকারভেদ
কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—
মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।
শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।
সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।
কেন করা হয়?
এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—
কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।
সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।
কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ডিপ্রেশন বা হতাশা
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া
আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
আত্মহত্যার প্রবণতা
শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া
ওজন বেড়ে যাওয়া
হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।
প্রতিরোধের উপায়
ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)