মৌসুমের শুরুতে দারুণ ছন্দে ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তখন ভক্তরা বিরক্ত ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের ওপর। এখন আবার ছন্দে আছেন এমবাপ্পে। আলোও বেশি তার ওপর। এসব কারণে এমবাপ্পে-ভিনিসিয়াস-রদ্রিগো ও জুড বেলিংহামকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগ দুর্দান্ত হলেও ভিনি-এমবাপ্পের সম্পর্ক অত ভালো নয়।

সংবাদ মাধ্যম কাদেনা ছের এমনই দাবি করেছে। সংবাদ মাধ্যমের মতে, ভিনি ও এমবাপ্পের সম্পর্ক বেশ ভালো বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু তাদের সম্পর্ক আসলে অত ভালো নয়। ভ্রাতৃত্বপূর্ণ তো নয়ই। ওই তুলনায় এমবাপ্পের সঙ্গে রদ্রিগো ও বেলিংহামের সম্পর্ক ভালো।

কাদেনা ছের-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রিয়াল ভ্রাতৃত্বের গল্প বানিয়ে ভক্তদের খাওয়াতে চায়। আসলে তেমন ভ্রাতৃত্ব তাদের (ভিনি-এমবাপ্পে) মধ্যে নেই। তাদের সম্পর্ক যেমনটা দেখানো হয় অত ভালো নয়। আবার এত খারাপ নয় যে, একে অপরকে দেখতেই পারে না।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বেলিংহাম ও রদ্রিগোর সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্ক খুব ভালো, ওই হিসেবে ভিনির সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্ক কেবলই ভালো। তারা ভাইয়ের মতো নয়। তারা একে অপরকে ঘৃণা হয়তো করে না, কিন্তু সম্পর্ক আর্দশও নয়।’

গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের মূল তারকা ছিলেন ভিনিসিয়াস। দারুণ মৌসুম কাটিয়ে ব্যালন ডি’অরের দাবিদার হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার মোহামেদ সালাহ ও রাফিনিয়ার সঙ্গে ব্যালন ডি’অর দৌড়ে সমানে পাল্লা দিচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনিই যে এখন লস ব্লাঙ্কোসদের মূল তারকা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিছুদিন আগে ভিনির রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার গুঞ্জনও উঠেছিল। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ