ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় ৯ শতাংশ দাবি করলেন রিহ্যাব নেতারা
Published: 11th, March 2025 GMT
ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় সাড়ে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) নেতারা। একই সঙ্গে পুরোনো ফ্ল্যাট বেচাকেনায় সেকেন্ডারি মার্কেট গড়ে তুলতে পুরোনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় কমিয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব দাবি জানান রিহ্যাব সভাপতি মো.                
      
				
বর্তমানে ফ্ল্যাটের আকারভেদে নিবন্ধন ব্যয় সাড়ে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ হয়ে থাকে। তার মধ্যে গেইন ট্যাক্স ৮ শতাংশ, স্ট্যাম্প শুল্ক দেড় শতাংশ, নিবন্ধন ফি ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ফি ৩ শতাংশ এবং ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত ভ্যাট ২ শতাংশ এবং ১ হাজার ৬০০ বর্গফুটের ওপরে ভ্যাট সাড়ে ৪ শতাংশ। রিহ্যাব নেতারা ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় কমিয়ে ৯ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মধ্যে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ, স্ট্যাম্প শুল্ক ১ শতাংশ, নিবন্ধন ফি ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ফি ১ শতাংশ এবং সব ধরনের ফ্ল্যাটে ভ্যাট ২ শতাংশ।
এ ছাড়া পুরোনো ফ্ল্যাট নিবন্ধন ব্যয় সাড়ে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি করেছে রিহ্যাব। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি, গেইন ট্যাক্স ইত্যাদি বিদ্যমান হার হ্রাস করা হলে সেকেন্ডারি মার্কেট চালু হবে। এতে একই সম্পত্তি একাধিকবার হাতবদলের ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
রিহ্যাব কোম্পানির নগদ লেনদেনের সীমা ৩৬ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি টাকায় উন্নীত করারও দাবি করেছে। বর্তমানে এক করবর্ষে ৫ লাখ টাকার ওপরের প্রতিটি লেনদেন ও ৩৬ লাখ টাকার ওপরে বার্ষিক লেনদেন ও ব্যয় ব্যাংকের মাধ্যমে করলে করপোরেট কর সাড়ে ২৭ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ হয়। তবে নিয়মটি পরিপালন করতে না পারায় অধিকাংশ আবাসন কোম্পানি করপোরেট করের সুবিধা নিতে পারে না।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই সাবেক প্রসিকিউটরের নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী।
জানা যায়, অনলাইনে ওই ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা এক বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুর রয়েছে। তাঁরা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজেদের কার্যকলাপ এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন, যাতে কেউ দেখতে না পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস ঘিরে ইসরায়েলের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তার পদত্যাগ০১ নভেম্বর ২০২৫অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার নউর ওদেহ বলেন, ওই নারী প্রসিকিউটরের আটকের ঘটনা ইসরায়েলে ‘রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির ওপর বাড়তি মনোযোগ মূল ঘটনা থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’২ ঘণ্টা আগে