লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
Published: 11th, March 2025 GMT
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এর আগে ‘পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী বানানোর অন্যতম খলনায়ক লাকি আক্তারসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল’—শীর্ষক কর্মসূচির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
শিক্ষার্থীরা ‘শাহবাগ নো মোর, ল তে লাকি, তুই হাসিনা তুই হাসিনা, চব্বিশের বাংলায় শাহবাগের ঠাঁই নাই, শাহবাগীরা হামলা করে, ইন্টেরিম কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছে। তারা আবার সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে আর শাহবাগ ফিরবে না। লাকি আক্তাররা বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। তারা আজ পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এই বাংলাদেশে আমরা আর শাহবাগের উত্থান মেনে নেব না।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যাওয়ার নাম করে তারা আজ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আসার আগে এই মুহূর্তে কারা বাংলাদেশকে বিশৃঙ্খল করতে চায় তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।
মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, অবিলম্বে যারা আজ পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তাদেরসহ লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাকে গ্রেপ্তার না করলে আমরা আবার রাজপথে নামবো। ২০১৩ সালে যারা বিচারহীনতা কায়েম করে ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে শক্তিশালী করেছিল। এই শাহবাগীদের বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তার করতে হবে। বাংলাদেশে হয় আমজনতা থাকবে না হয় শাহবাগীরা থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ হব গ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’