গোবিন্দকে কেন গালিগালাজ করেছিলেন কাদের খান?
Published: 12th, March 2025 GMT
একসময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। তার নাচের মুদ্রাগুলো ভক্তদের হৃদয়ে এখনো অমলিন। নাচের আলাদা ধরন আর অভিনয় গোবিন্দকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। তবে তার এই যাত্রা কণ্টকাকীর্ণ ছিল। অনেক সংগ্রাম করে নিজের অবস্থান তৈরি করেন গোবিন্দ।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন গোবিন্দ। বলিউডের তাবড় তাবড় তারকাকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন। প্রয়াত বরেণ্য অভিনেতা কাদের খানের সঙ্গে অনেক কাজের সুযোগ পেয়েছেন গোবিন্দ। শুটিং সেটে একবার গোবিন্দকে গালিগালাজ করেছিলেন কাদের খান।
কয়েক দিন আগে মুকেশ খান্নাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গোবিন্দ। এ আলাপচারিতায় পুরোনো সেই ঘটনা ব্যাখ্যা করেন তিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গোবিন্দ বলেন, “সকাল ৭টায় শুটিং সেটে পৌঁছাই। সকাল থেকেই বসেছিলাম, অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমার শুটিং দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে সেট করেছিল। যার কারণে আমি দুপুরের খাবার দিতে বলি।”
আরো পড়ুন:
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না করার কারণ জানালেন কারিনা
আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ
সেই সময়ে গোবিন্দর সহঅভিনেতা কাদের খান এসে জানতে চান, এখন কি দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়? খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে গোবিন্দকে শট দিতে বলেন কাদের খান। জবাবে গোবিন্দ বলেন, “সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। আমি এখন ক্ষুধার্ত। খাবার খাওয়ার পরই আমি শুটিং শুরু করব। আপনিও আমার সঙ্গে খাবার খেতে বসেন।”
এরপরই কাদের খানের সঙ্গে তর্ক লাগে গোবিন্দর। বরেণ্য তারকা কাদের খান শান্ত হননি। রেগে গিয়ে গোবিন্দকে বলেন, “মানুষকে বলতে শুনেছি, ‘গোবিন্দ নাকি আজকাল কঠিন সময় পার করছে।’ তুমি কি কাউকে ভয় পাও না?” কাদের খানের প্রশ্নের উত্তরে গোবিন্দ বলেন, “আমি কেবল ঈশ্বরকে ভয় পাই। আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করুন।”
সেদিন কাদের খান গালিগালাজ করেছিলেন। এ তথ্য উল্লেখ করে গোবিন্দ বলেন, “আমাকে অনেক গালিগালাজ করলেন। সাধারণত, তিনি এটা করেন না। আবার আমাকে অনেক ভালোওবাসতেন তিনি।”
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বলিউডে পা রাখেন গোবিন্দ। তার প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা ‘ইলজাম’ ও ‘লাভ ৮৬’ মুক্তি পায়। বক্স অফিসে দুটো সিনেমাই হিট হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি গোবিন্দকে।
এরপর ‘রাজা বাবু’, ‘কুলি নম্বর ১’, ‘হিরো নম্বর ১’, ‘সাজন চলে সসুরাল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন নব্বই দশকের এই ব্যস্ত অভিনেতা গোবিন্দ।
তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দ বল ন গ ল গ ল জ কর কর ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।