গাজীপুর মহানগরীর গাছা ৩৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় দলীয় কোন্দলের জের ধরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে গাছা থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। 

এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। 

বুধবার (১২ মার্চ) এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও গাছা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল। 

অভিযুক্তরা হলেন- ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাদিকুর রহমান টিপু, রফিকুল ইসলাম সুমন ওরফে কার্টুন সুমন, সুমন রাহাত, জাকির হোসেন ওরফে ঝুলা জাকির, শাহেন শাহ, জিএস মামুন, নুরে আলম, মোহাম্মদ আলী, আলামিন ও আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাত ৭০/৮০ জন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের গাছা এলাকায় ৫ আগস্টের পর ঝুট, ময়লা, ইন্টারনেট, ডিস ব্যবসার দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রের নেতৃত্বে আছেন গাছা থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন। 

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে তার সাথে জোট করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে স্থানীয় যুবদল ও বিএনপির একটি অংশ। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা। 

ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, “রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর সাথে আপোষ বা লিয়াজোঁ করে রাজনীতি করিনি। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমি ৩৮ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু আমার দল নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিলে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করি।” 

তিনি আরো বলেন, “সেই সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী মনিরের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন বিএনপির থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন। আমি তার ভাগ্নে হাজী মনিরের নির্বাচন করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। গত ৫ আগস্টের পর তার লোকজন যারা এতদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল তাদের নিয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”

গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ড ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়, কোনটা বিভেদ, খেয়াল রাখতে হবে: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য প্রথমে মানুষের অন্তরের পরিবর্তন দরকার।

আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন আবদুল মঈন খান। ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতার আয়োজন করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বলা হচ্ছে সংবিধানের কিছু পরিবর্তন হবে, কিন্তু আমি বলব, পুরো সংবিধান পাল্টে দিলেও যারা সংবিধান তৈরি ও পালন করে, এ দেশের জনগণের অন্তরের পরিবর্তন না হলে কোনো লাভ হবে না। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়। কোনটা বিভেদ, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ১৬শ হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৬শ মামলা হওয়া উচিত ছিল।’ এ প্রসঙ্গে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি আইনজ্ঞ না হয়েও বলছি, যদি ১৬শ মামলা হয়, তাহলে আধুনিক বিচারব্যবস্থায় এসব মামলার বিচার হতে ১৬শ বছর লাগবে। বরং বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচারের জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট। আর কোনো সৎ সাহসী সরকার হলে ১৬ ঘণ্টায় এই বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব।’

চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও মানুষের আকাঙ্ক্ষা কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কথা বলছি, আমি প্রশ্ন করতে চাই, যে প্রত্যাশা নিয়ে চব্বিশের জুলাই–আগস্ট এসেছিল, আজকের জুলাই–আগস্টে তার কতটা পূরণ হয়েছে? দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময়ে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, সেটা কি পূরণ হয়েছে? কেন আমাদের উত্তরণ হয়নি, সেই প্রশ্ন করতে হবে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কথা সবাই বললেও কেউ শহীদদের ধারণ করছে না বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গল্প অনেকটা একাত্তরের গল্পের মতো হয়ে যাচ্ছে। সবাই বলছে, কিন্তু শহীদদের কেউ ধারণ করছে না। এসব চিহ্ন দেখলে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে নতুন বন্দোবস্ত হচ্ছে না। বরং আমরা পুরোনো ধারায় থেকে যাব। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো শহীদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল।’

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতায় বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শনিবার সকালে

সম্পর্কিত নিবন্ধ