গাজীপুরে ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর
Published: 12th, March 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর গাছা ৩৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় দলীয় কোন্দলের জের ধরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে গাছা থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।   
এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
বুধবার (১২ মার্চ) এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও গাছা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল।
অভিযুক্তরা হলেন- ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাদিকুর রহমান টিপু, রফিকুল ইসলাম সুমন ওরফে কার্টুন সুমন, সুমন রাহাত, জাকির হোসেন ওরফে ঝুলা জাকির, শাহেন শাহ, জিএস মামুন, নুরে আলম, মোহাম্মদ আলী, আলামিন ও আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাত ৭০/৮০ জন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের গাছা এলাকায় ৫ আগস্টের পর ঝুট, ময়লা, ইন্টারনেট, ডিস ব্যবসার দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রের নেতৃত্বে আছেন গাছা থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে তার সাথে জোট করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে স্থানীয় যুবদল ও বিএনপির একটি অংশ। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, “রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর সাথে আপোষ বা লিয়াজোঁ করে রাজনীতি করিনি। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমি ৩৮ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু আমার দল নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিলে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করি।”
তিনি আরো বলেন, “সেই সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী মনিরের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন বিএনপির থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন। আমি তার ভাগ্নে হাজী মনিরের নির্বাচন করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। গত ৫ আগস্টের পর তার লোকজন যারা এতদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল তাদের নিয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ড ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন