মাহফুজুরের স্পিন বিষে নীল পারটেক্স
Published: 12th, March 2025 GMT
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ উইকেটের অমৃত স্বাদ পেলেন মাহফুজুর রাব্বী। তার স্পিন বিষে নীল হয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের এই স্পিনার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন পারটেক্সকে। আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। মাহফুজুর ৯ ওভারে ২ মেডেনে ১৮ রানে নেন ৫ উইকেট। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবাহনী ১৪.
পারভেজ হোসেন ইমন ৫০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। মোসাদ্দেক ২৭ বলে করেন ৩৭ রান। সাজঘরে ফেরেন জিসান আলম (৬) ও মুমিনুল হক (২)। এর আগে মাহফুজুরের ঘূর্ণিতে স্রেফ দিশেহারা হয়ে যান পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিংয়ে জয়রাজ সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। তিনে নামা অধিনায়ক সাব্বির রহমান করেন ২৩ রান। আদিল ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেনি। এর আগে কখনোই ফাইফারের স্বাদ না পাওয়া মাহফুজুর এবার অপেক্ষা দূর করেছেন।
এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক ও রাকিবুল হাসান। চতুর্থ ম্যাচে আবাহনীর এটি তৃতীয় জয়। রান রেটে মোহামেডানকে পেছনে ফেলে টেবিলে দুইয়ে অবস্থান তাদের। সমান ম্যাচে পারটেক্সের এটি তৃতীয় পরাজয়।
আরো পড়ুন:
তামিমের আরেকটি সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের সহজ জয়
‘যেখানেই খেলি না কেন আমার একটাই ইচ্ছা থাকে’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন