পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় ট্রেনে জিম্মি উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর বরাত দিয়ে জিও টিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় সন্ত্রাসীরা জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের পর নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে কোনো যাত্রীর ক্ষতি হয়নি।

একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলের সাথে আলাপকালে আইএসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, “৩৩ জন সন্ত্রাসীকে জাহান্নামে পাঠানো হয়েছে.

.. ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় চারজন ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদস্য শহীদ হয়েছেন।”

মঙ্গলবার পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪৫০ যাত্রীকে জিম্মি করেছে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবিকারী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বুধবার নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছিল, জিম্মি যাত্রীদের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা পরে জঙ্গিরা বসে আছে। এর ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। ওই সময় জানানো হয়, অভিযানে ৩০ জঙ্গি নিহত হয়েছে।

বুধবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনী ১৯০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করেছে বলে জানানো হয়েছিল। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত