গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 13th, March 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এবং গাম্বিয়ার মধ্যে এই ভিসা অব্যাহতি চুক্তি আমাদের সরকারগুলোর মধ্যে আরও অর্থবহ যোগাযোগে সহজ করবে। কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন৷
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সাক্ষী হলেন- বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরের, যা আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত, যা সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব জোরদার করার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার নৈতিক অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সংহতির জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। ওআইসির সমর্থনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গাম্বিয়ার নেতৃত্ব আমাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে। এই সাহসী পদক্ষেপ ও মানবাধিকার রক্ষায় তাদের অঙ্গীকার আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে, আর আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর আমাদের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের আরেকটি মাইলফলক।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে, আমরা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। আমাদের প্রত্যাশা, এই ভিসা অব্যাহতি চুক্তি আমাদের সরকারগুলোর মধ্যে আরও অর্থবহ যোগাযোগ সহজ করবে, কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে। রেডিমেড গার্মেন্টস, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিং, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইটি-সংশ্লিষ্ট সেবা, এবং ওষুধশিল্প—এসব খাতে সহযোগিতার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দুটি দেশ হিসেবে, যেখানে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি কৃষির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি প্রচারের লক্ষ্যে। আমাদের উচিত এই কূটনৈতিক সদিচ্ছাকে ব্যবসা-বাণিজ্যিক যোগাযোগে রূপান্তর করা, যাতে আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.                
      
				
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সহয গ ত র ক টন ত ক র জন য আম দ র ত করব
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন