বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে রিকশাচালক হত্যায় মামলা
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় রিকশাচালককে ছুরি মেরে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নগরের বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন নিহত রিকশাচালক গোলাম হোসেনের (৪৮) স্ত্রী পরিবানু বেগম। মামলায় ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
তবে মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিরও নাম জানাতে চাননি ওসি মোস্তাক হাসান। মামলার কপি আদালতে পাঠানো হলে সেখান থেকে আসামিদের নাম জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
গত ৬ মার্চ নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান ও তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরদিন সন্ধ্যায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দড়িখড়বোনা ও আশপাশের এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। গুলি ছোড়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেল।
মহাজনের রিকশা জমা করে এই রণক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন গোলাম হোসেন। তখনই একপক্ষ অপর পক্ষের লোক ভেবে রিকশাচালক গোলামকে ছুরি মারে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
ছয় বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে রাজশাহীর এতিমখানায় ঠাঁই হয়েছিল কুমিল্লার গোলাম হোসেনের। তারপর বিয়ে, ঘর, সংসার- সবই হয়েছিল এই শহরে। তিনি দড়িখড়বোনা এলাকায় রেললাইনের পাশে দুই হাজার টাকা ভাড়ার একটি টিনের ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪
বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r
একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)।