বন্দরে দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে  জামায়াত নেতার ছোট ভাইয়ের দোকানে তালা ঝুঁলিয়ে  দখলে নেওয়ার  অভিযোগ পাওয়া গেছে মোজাম্মেল গং এর বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে বন্দর থানার সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা কাজী মামুন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট  থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসলে ওই সময় পুলিশ রহস্য জনক কারনে অভিযোগটি গ্রহন করেনি বলে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানিয়েছে।

বিভিন্ন তথ্য ও জামায়াত নেতা কাজী মামুন আরো জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বন্দর থানার সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মুন্সী ছেলে জামায়াত নেতা কাজী মামুনের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম (৩৯) এর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সজিব ও রুপালী আবাসিক এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী ছেলে অহিদগং।

এর ধারাবাহিকতা গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে  দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে উল্লেখিত চাঁদাবাজদের দোসর সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া এলাকার নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল ও তার ছোট ভাই আলাউদ্দিন, একই এলাকার মৃত সোবহান আলী ছেলে মিন্টু ও নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছোট ভাই আমিনুল ইসলামের দোকান তালা ঝুঁলিয়ে দোকানের সাটারের মধ্য স্টিকার যুক্ত সাইনবোর্ড স্থাপন করে দোকানটি দখলের পাঁয়তারা করে।

পরে বিষয়টি লোক মারফতে জানতে পেরে এ ব্যাপারে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসলে পুলিশ অভিযোগটি গ্রহন করেনি।  আমি ন্যায় বিচারের আশা  বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলাচ্ছি।

এ ব্যাপারে বন্দরে কর্মরত গনমাধ্যমকর্মীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বলতে থানায় আসলে ওই সময় তাকে থানায় পাওয়া যায়নি। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩

নরসিংদীর পলাশে শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইসমাইল হোসেন (২৬) নামে এক ছাত্রদল কর্মী গুলিবিদ্ধসহ তিন জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১৫ জুন) রাতে উপজেলার বিএডিসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ইসমাইল হোসেন উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ও ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শোডাউনের উদ্দেশে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলসহ আরো একজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী ইসমাইলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল নির্বাচনি এলাকায় শোডাউন করতে যান। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তিন জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’

ঢাকা/হৃদয়/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ